পাতা:সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২০
সুনির্মল বসুর

কান্না সবার থামলো তখন, হাসলো মহানন্দে গো,
বললে পিসি—“আমার মনে হচ্ছিল তাই সন্দেহ।”
আন্নাকালী হাসলো তখন সাম্‌লে নিয়ে কান্নাটা,
বললে “তবে যাই গো এখন, সারতে হবে রান্নাটা।”
ঠানদি বলেন, “ঠিক বলেছ, ভয় পাই নাই আমরা তো।—
মাণিক বলে চক্ষু খুলে—“কিন্তু যদি কামড়াতো?”

কেলেঙ্কারি

বিয়ে-বাড়ি গিয়ে সেদিন মোদের পাড়ার কেষ্টা,
খেতে বসে কেলেঙ্কারি করলে রে ভাই শেষটা।
লুচির পালা শেষ করে ভাই, (ছিলাম মোরা সাক্ষী)
সাবড়ে’ দিল রাবড়ি সে যে পাঁচটি পোয়া পাক্কি।
কেষ্টা ছোঁড়া এমন পেটুক কেই বা সেটা জানতো?
করলো সাবাড় যতেক খাবার, ছানার গজা, পান্তো!
শেষে এমন হাল হ’ল তার, যতই করে চেষ্টা,
আসন ছেড়ে উঠতে নারে, পাড়ার পেটুক কেষ্টা।
নাক দিয়ে তার শ্বাস বহে না, মুখেতে নাই শব্দ,
বিয়ের ভোজে এসে এবার বেজায় হ’ল জব্দ।
ওজন বুঝে ভোজন নাহি করতে গিয়ে হায় রে,
কেষ্টা বুঝি শেষটা এবার যমের বাড়ি যায় রে!
পেটটা হ’ল ঢাকাই জালা, দম হ’ল তার বন্ধ,
শরীর যেন এলিয়ে এল, চক্ষু হ’ল অন্ধ।
ছাদ্‌না-তলায় বর বসেছে, হচ্ছে শুভদৃষ্টি,
এমন সময় হায় রে একি বাধলো অনাসৃষ্টি!
সবাই এল দৌড়ে ছুটে,—সবাই করে জট্‌লা,
বিয়ে-বাড়ির আসর জুড়ে উঠলো দারুণ হল্লা।