পাতা:সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শ্রেষ্ঠ কবিতা
১২৫

পটলবাবুর কন্যাদায়

কোটালপুরের পটলবাবু ভালমানুষ বড়,
হঠাৎ হ’ল বিপদ গুরুতর।
মেয়ের বিয়ে, কথা ছিল বরযাত্রী আসবে জনা-ষোলা,
হায় রে, তবে এ কী ব্যাপার হ’ল?
সত্তর জন বরযাত্রী হল্লা ক’রে উঠলো এসে পটলবাবুর বাড়ি,
বিপদ হ’ল ভারি।
পটলবাবু ভয়ের চোটে পটল তোলেন বুঝি।
উপায় কিছু পান না তিনি খুঁজি’।
গরিব মানুষ নেহাৎ তিনি, থাকেন গাঁয়ের দেশে,
অনেক ক’রে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন শেষে।
জনা-কুড়ির ব্যবস্থাটা করেছিলেন পাকা,—
নাইকো বেশি টাকা।
কোনো রকম জোগাড় ক’রে শাঁখা-সিঁদূর দিয়ে
ইচ্ছা ছিল, দেবেন মেয়ের বিয়ে।
সেই রকমই হয়েছিল রফা,—
যোলোর স্থানে সত্তর জন হাজির হ’ল বরযাত্রী,—
সারলো বুঝি দফা।


ভাগ্নে হরু বললে-“মামা, ব্যস্ত হয়ো নাকো,
তুমি শুধু চুপটি ক’রে থাকো।
বিয়ের ব্যাপার চলতে থাকুক, আমি এদিকটাতে
খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাটা নিচ্ছি নিজের হাতে।
চিন্তা তুমি ছাড়ো,—
তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যাপার সারো।”