একটি সন্ধ্যা
বসে আছি চুপটি করে কুটীরখানির দাওয়ায়;
শরীর যেন জুড়িয়ে গেল সন্ধ্যাবেলার হাওয়ায়।
হঠাৎ আঁধার দূর হয়ে যায় চাঁদা-মামার চাওয়ায়;
ঝিলমিলিয়ে উঠলো ধরা জ্যোৎস্না-আলো ছাওয়ায়।
গন্ধরাজের গন্ধ আসে স্নিগ্ধ হাওয়ার বাওয়ায়;
তৃপ্ত হ’ল রাতের ভোমর ফুলের মধু খাওয়ায়।
সঁঝের আসর উঠলো জমে আকুল পাখীর গাওয়ায়;
ডানায় তাদের শব্দ জাগে আকাশ-পথে ধাওয়ায়।
জোনাক-পোকার ভিজলো ডানা শিশির-জলে নাওয়ায়;
আলো-ছায়ার চলছে খেলা মেঘের আসা-যাওয়ায়।
আমার চোখে ঢুল লেগে যায় শাস্তিটুকু পাওয়ায়;
বসে আছি চুপটি করে কুটীরখানির দাওয়ায়॥
শিরশিয়া ঝিল
অভিযানকারী যায় না সেথায়,
ভ্রমণকারীরা যায় না;
‘শিরশিয়া ঝিল’ করে ঝিলমিল,
ঝকঝকে যেন আয়না।
আয়নাই বটে, কাচ সম জল,—
আজো দেখে তারে চিনবো—
সারাদিন তা’তে টল্টল্ করে।
প্রকৃতির প্রতিবিম্ব।
উড়ন্ত পাখী ছায়া ফেলে যায়,
মুখ দেখে মেঘ হর্ষে,