পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >०२ ] নিৰ্দ্ধারিত সময়ে পুত্র গৃহে প্রত্যাগমন না করিলে পিতা শশব্যস্ত হইয়া পথের দিকে চাহিয়া থাকিতেন একালে কোন পিত। প্রায় সেরূপ করেন না । ধনোপার্জন করিতে না পারিলে পুত্রকে অস্নেহ ও উপার্জন করিতে পারিলে পুত্রকে বিশেষ স্নেহ করা পিতার নিয়ম হইয়াছে। বঙ্গে ধনানুগত পিতৃস্নেহ হইয়াছে, ইহা শুনিয়া চমৎকৃত হইবেন না। ক্রমশঃ বিলাতীয় পিতৃ-ভাবের আবির্ভাব হইলে আরো কত শুনিতে পাইবেন। বঙ্গে ঐরূপ ধনলোভী পিতা দেখিলে ক্ষোভ হয় কিন্তু বিলাতে নৃসংশ পিতার বৃত্তান্ত শুনিলে এই সুর-সভার অনেকে নিস্তব্ধ হইবেন ; তথায় অন্ধ বালককে রাজপথে দেখিলে দানশীল লোকেরা তাহাকে অধিক অর্থ দান করেন সেই হেতু অনেক পাষাণ পিতা পুত্রের চক্ষু উৎপাটন করিয়া রাজপথে বসাইয়া দেন । পিতার প্রতি পুত্রের ব্যবহার । সে কালের ইংরাজি অশিক্ষিত পুত্র কর্তৃক পিতার যতদূর উপকার হইত, এক্ষণকার অগাধ বিদ্যাধর ইংরাজি শিক্ষিতের স্বারা ততদূর হয় না। তখন পিতার কথার উপর টাকা করিবার পদ্ধতি ছিল না, তাহাতে সংসার যাত্রা যেরূপ শৃঙ্খলা পূৰ্ব্বক নির্বাহ হইত, এক্ষণে সেরূপ হয় না । পিতৃ আজ্ঞা . প্রতিপালনার্থে রামচন্দ্র কঠিন যন্ত্রণ সহ্য করিয়াছিলেন, সেই হেতু এক্ষণকার কোন কোন কৃতি পুত্র রামকে বৰ্ব্বর গর্দভ বলিয়া প্রকাশ করেন ।