পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ هلالا ] পূৰ্ব্বক অর্থ নষ্ট করিয়া স্বামী বিপদে পতিত হয়েন। এক্ষণকার অনেক স্বামী নিতান্ত আসার, তাহারা স্ত্রীর নীচাশয়ের অনুগামী হইয়া কৰ্ম্ম করেন, স্ত্রীকে আপনার সদাশয়ের অনুগামিনী করিয়া কৰ্ম্ম করাইতে পারেন না । শ্বশুরের প্রতি জামাতার ব্যবহার । এক্ষণকার জামাতা শ্বশুরের প্রতি যে কত অত্যাচার করিয়া থাকেন, তাহার সবিশেষ বিবরণ বলিতে চক্ষে জলধারা আসিতেছে। জামাতারা কোন ক্রমেই শ্বশুরের প্রতি স্বপ্রসন্ন নহেন, বিবাহকালে নিষ্ঠুরের ন্যায়, শ্বশুরের উপজীবিকার অর্থ পৰ্য্যন্ত লইয়া কন্যা গ্রহণ করেন, আবার সময়ে সময়ে প্রচুর উপহার না পাইলে শ্বশুরের প্রতি র্তাহারা প্রচণ্ড কোপ প্রকাশ করেন। এমন কি দুৰ্ব্বাক্যও বলিয়া থাকেন। শ্বশুর কি করিবেন, সকল কথা সহ্য করিয়া থাকেন, এবং জামাতার কন্যা হইলে অচির কালের মধ্যে জমাতাকে আবার জামাতার জালায় জলিতে দেখেন। পশ্চিমাঞ্চলে জামাতার উপদ্রবে প্রপীড়িত হইয়া তত্রস্থবাসীরা এক রাজাজ্ঞা সংগ্ৰহ করিয়াছেন, সেইহেতু সে অঞ্চলের জামাতারা আর শ্বশুরের নিকট অপরিমেয় অর্থ কিম্বা মূল্যবান দ্রব্য গ্রহণ করিতে পারেন না ; বঙ্গবাসীরা জামাতার উপদ্রব নিবারণের উপযুক্ত এক রাজাজ্ঞ যতদিন না প্রাপ্ত হইতেছেন, ততদিন তাহারদিগের শ্রেয় নাই। কোন দ্রব্য যদ্যপি শ্বশুর জামাতাকে বিবাহকালে দিতে অক্ষম হয়েন, তবে নিষ্ঠুর জামান্ত