পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s७१ | সমালোচকেরা কেবল আত্মীয় ও অনুগত লেখকদিগের রচনার সমালোচনা করেন। ইহা সম্পূর্ণ অন্যায়। যাহা হউক এ সকল কুলক্ষণের সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গ্রন্থ সমুদায় প্রচলিত আছে এবং মহাভারত ও রামায়ণ প্রভৃতির অনুবাদক উৎকৃষ্ট লেখকের গ্রন্থ প্রচার করিতেছেন সেই পরম মঙ্গল। তারাশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য যে কাদম্বরীর মুমধুর রচনা রিাখিয়া আসিয়াছেন, তাহ পাঠকেরা যখ\ তখন পাঠ করিয়া থাকেন ; বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র, বাবু রজনারায়ণ বসু ও দেবেন্দ্রনাথের জ্ঞানগৰ্ত্ত পুস্তক প্রচলিত আছে ; সুবিখ্যাত অক্ষয়কুমার দত্তের পুস্তক বিদ্যালয়ে পাঠ হইতেছে ৭ তাহারও লেখার দোষ গুণ বিচারে ইদানীং অনেকে সক্ষম হইয়াছেন ইহ শুভ সংঘটনার লক্ষণ। ভূদেব বাবুর পুস্তকে হজসন প্রাট সাহেবের বিবরণ অতি রহস্যজনক । অতঃপর হরিনাথ হায়রত্ব গিরীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন, মধুস্থদন বাচস্পতি, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, হরানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি পণ্ডিতমণ্ডলীর বিশুদ্ধ ও ললিত সন্দর্ভ কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ শুনিয়া বিমোহিত হুইয়াছি । নভেল নাটকের হিল্লোল সভ্য মহাশয়ের সুরলোকে উত্থাপন করেন নাই সেই শুভদায়ক। মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদ বধ কাব্যের স্বভাবোক্তি বীর করুণ বীভৎস প্রভৃতি রস যেরূপ প্রণালীতে বিরচিত হইয়াছে, কালীপ্রসন্নের বাচনিক শুনিলাম, সেই সেই রস ভাগ পাঠ করিলে চমৎকার জ্ঞান হয়, ঐ সকল রস বর্ণনা উপলক্ষে মাইকেল যে অসাধারণ কবিশক্তির পরিচয় দিয়াছেন,