পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

受寺is?fび天7l SS কেহই অতিথিকে স্থান দিতে সম্মত হইল না । অবশেষে আনন্যোপায় হইয়া সুরেশ অনেক বড় লোকের গৃহেও উপস্থিত হইয় আশ্রয় প্রার্থনা করিল। কিন্তু দ্বারপালোবা, “হুকুম নেহি” বলিয় দ্বার হইতেই তাহাকে তাড়াইয়া দিল । ক্ষুধায় অধীর হইয় অসহায় বালক এক ময়রা দোকানে প্ৰবেশ করিল। চাৰি আনার কমে ক্ষুধা নিরাত্তি হইল না । সুরেশকে গাইটের টাক এই প্রথম ভাঙ্গিতে হইল। তখন তাহার একটী বিষম ভাবন উপস্থিত হইল। যদি শীঘ্ৰ কোথায় আশ্রয় প্রাপ্ত না হই, তাহ হইলে কি উপায় হইবে । এক সন্ধ্যা অহার করিতে চারি আনা ব্যয় হইল, চারি দিনের অধিক আহারের সম্বল নাই তার পর গতি কি হইবে । চিন্তা করিতে করিতে সুরেশের মুখ বিষন্ন হইল। সংসারের পথ যে কণ্টকময় পুৰ্ব্ব বিপদেও তাহার সে জ্ঞান জন্মে নাই, কিন্তু এখন জন্মিল । ভাবী বিপদের আশঙ্কায় তাহার নয়ন প্রান্তে দুই এক বিন্দু অশ্ৰািজল উদয় হইল। কিন্তু এখন চিন্তার সময় নহে, ক্ৰন্দনের সময় নহে, এখন আত্মারক্ষার উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে হইবে, সুতরাং সুরেশ यांदांद्ध আশ্রয় স্থানের অনুসন্ধান করিতে প্ৰবৃত্ত হইল । এবারও তাহার সমুদয় যত্ন, সমুদয় পরিশ্রম নিস্ফল হইল। ক্ৰমে সন্ধ্যা হইল, দেখিতে দেখিতে রজনী আপনার অধিকার বিস্তার করিল। রাত্রিকাল কোথায় কি ভাবে যাপন করিব, তখন তাহার এই চিন্তা উপস্থিত হইল, কোন উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে না পারিয়া পুনরায় চক্ষে জল আসিল । কোন উপায় না দেখিয়া সে মুদি দোকানে থাকিবার প্রার্থনা জ্ঞাপন করিল। কলিকাতার মুদিরা কাহাকেও রাত্ৰিযোগে নিজ গৃহে থাকিতে দেয় না, সুতরা সুরেশের প্রার্থনা পূর্ণ হইল না । উৰ্দ্ধে অনন্ত আকাশ, হৃদয়ে অসীম চিস্তা, সুরেশ পথ প্ৰায়ে