পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। - S9 ধৰ্ম্ম গ্রহণ ও যজ্ঞোপবীত পরিত্যাগ করিয়াছেন, এ জন্য পরিবার ও আত্মীয়বর্গের নিকট হইতে কোন সাহায্য প্রাপ্ত হইতেছেন। না । কালীপ্রসন্ন যে বাসায় থাকেন, সেই বাসা বাঙ্গাল ব্ৰহ্মজ্ঞানী। ছাত্রদিগের বাসা বলিয়া পরিচিত। এই বাসার ছাত্ৰগণ সকলেই পরিজন ও আত্মীয়গণ কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াছেন, কিন্তু । তাহাদিগের পরস্পরের মধ্যে এমন একটী বন্ধন জন্মিয়াছে যে, এক রক্ত-মাংস-দস্তুত বলিয়া বােধ হয়। তাহারা একান্নভুক্ত পরিবারের ন্যায় বাস করেন, সেই জন্যই এত অল্প সংস্থানেও কালীপ্রসম্নের কোন কষ্ট হইতেছে না । কালীপ্রসন্ন অতি উদারপ্রকৃতি ও পরম দয়াবান ; পরদুঃখে তিনি বিলক্ষণ কাতর হন । কিন্তু অনেক দয়াবান লোকের ন্যায় কেবল কাতরতা প্ৰকাশ করিয়াই ক্ষান্ত হন না, প্ৰাণপণে পরের দুঃখ মোচন করিতে। যত্ন করেন । সুরেশের চারি দিকে কুণ্ডলী করিয়া পথিকেরা দণ্ডায়মান হইয়াছিল ; কালীপ্ৰসন্ন জনতার মধ্যে মস্তক প্ৰবেশ করাইয়া সুরেশের দুঃখের সংবাদ শুনিলেন এবং অগ্রসর হইয়া। তাহাকে বলিলেন, তুমি আমার সঙ্গে চল, আমাদিগের বাসায় তোমার স্থান হইবে । সুরেশ যেন হঠাৎ হাতে আকাশ পাইল । এবং চক্ষের জল মোচন করিয়া তাহার পাশ্চাৎগামী হইল । কালীপ্রসন্ন যদি তাঁহার বাসাস্থ বন্ধুদিগের প্রকৃতি ভালরূপে না । জানিতেন, তাহা হইলে সুরেশকে লইয়া যাইয় তাহাদিগের ব্যয়ভার বৃদ্ধি করিতে সন্ধুচিত হইতেন, সন্দেহ নাই। কিন্তু তিনি বিলক্ষণ জানিতেন যে, তাহার বন্ধুবৰ্গ সুরেশকে আশ্রয় দিয়া । কৃতাৰ্থ হইবেন । তাহারা পরের দুঃখ মোচনকালে আত্মক্লেশকে । উপেক্ষা করিতে জানেন । বস্তুতও সুরেশ ছাত্রদিগের বাসায় পরম সমাদরে গৃহীত হইল। কলিকাতায় যে সকল লোকের নিকট সাহায্যপ্রাপ্তির প্রত্যাশা ছিল, সুরেশ একপক্ষ-কাল