পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS) সুরুচিরকুটীর। সঞ্চয় করা আবশ্যক, তিনি কেবল ইহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন এমত নহে, তিনি নিজ বিশ্বাসের অনুরূপ কাৰ্য্যও করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। তঁহার বেতন যখন পঁচিশ টাকা হইল, তখনও তঁাহার ব্যয় বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হইল না। নিম্প্রয়োজনে ব্যয় বৃদ্ধি করিয়া ভাবী সুখের মূলোচ্ছেদ করা বুদ্ধিমানের কার্য্য নহে, সুরেশচন্দ্ৰ বুদ্ধির বিপরীত কাৰ্য্য করিলেন না । তিনি প্ৰতি মাসে আপনার উপার্জিত অর্থের অৰ্দ্ধেক সঞ্চয় করিতে লাগিলেন, তাহার নিজের ব্যয় কোন মাসেই দশ টাকা অতিক্ৰম করিত না, অবশিষ্ট আড়াই টাকা তিনি সৎকৰ্ম্মে ব্যয় করিবার জন্য স্বতন্ত্র করিয়া রাখেন এবং আবশ্যকমত তাহা হইতে ব্যয় করেন । এই অর্থ ব্যয় সম্বন্ধেও তাহার বিলক্ষণ সুবিবেচনা দৃষ্ট হইতে লাগিল । সংসারে অনেক প্রকার সৎকৰ্ম্ম আছে, কিন্তু সকল সৎকৰ্ম্মে দান করা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না । সুতরাং সৎকৰ্ম্মে দান করিতে হইলেও বিবেচনা-শক্তি পরিচালনা করা আবশ্যক । সুবিবেচক ব্যক্তির কাৰ্য্যের গুরুত্ব, ভাবী ফলাফল এবং আপনার রুচি দেখিয়া ব্যয় করিতে প্ৰস্তুত হন । অবিবেচকেরাই যথেচ্ছ ভাবে ব্যয় করিয়া থাকে । আর যাহারা নামার্থী, যে কাৰ্য্যে যশের অধিক সম্ভাবনা তাহারা সেই কাৰ্য্যেই ব্যয় করিতে প্ৰস্তুত হয়, কাৰ্য্যের শুভাশুভ ফল বা গুরুত্বের প্রতি তাহাদিগের কোন দৃষ্টি থাকে না । যে সকল কাৰ্য্যে যশের বিলক্ষণ সম্ভাবনা আছে, এমন অনেক কাৰ্য্যেও সুরেশচন্দ্ৰকে হস্ত সঙ্কোচ করিতে দেখা গিয়াছে, অথচ তিনি আপনার হৃদয়ের ইচ্ছানুরূপ অনেক সৎকাৰ্য্যে গোপনে । মুক্ত হস্তে দান করিয়া থাকেন। এমন কি, যে সকল কাৰ্য্যে যশোর কোন সম্ভাবনাই নাই, বরং দেশের লোকে যাহার নিন্দা করিয়া থাকে, সুরেশচন্দ্র তেমন অনেক কাৰ্য্যকে প্রকৃত সৎকৰ্ম্ম জানিয়া পরম উৎসাহের সহিত তাহাতে অর্থ ব্যয় করেন । কিন্তু তঁাহার