পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । SS • বলিলেন, “এ সমুদয়ই প্ৰবঞ্চনা, আপনাকে একজন বড় সংস্কারক বলিয়া পরিচয় দেওয়া ইহার অভিপ্ৰায়, ইহার কোন কথাই হৃদয় হইতে বাহির হয় নাই। বাবু কিছু দিন এইরূপ ধুমধাম করিয়া পশ্চাৎ হিন্দুসমাজে যাইয়া অষ্টবৰ্ষীয় গৌরী বিবাহ করিবেন। আমি এখন বলিয়া রাখিলাম, পরে ইহার প্রমাণ পাইবে।” আর এক ব্যক্তি বলিলেন “আমারও সে সন্দেহ হইতেছে। ইহার জীবনে ধৰ্ম্মানুরাগ নাই, কেবল বাহ্য সভ্যতা লইয়া আড়ম্বর করিতেছে। ঈশ্বরের উপর যদি নির্ভর থাকিত, তবে এ কথা কখনই বলিতে পারিত না যে, ভাবী পরিবারের জীবিক সংস্থান না করিয়া সে কখনই বিবাহ করিবে না। কি মুখতার কথা, বিশ্বাসী ব্যক্তিরা এমন কথা কখনই বলিতে পারেন না, তাহারা জানেন যে, ‘স্বয়ং ঈশ্বরই জীবিকার সংস্থান করিবেন।” ধৰ্ম্মের দৃঢ় বন্ধনে যাহারা সুরক্ষিত নহে, তাহারা কতকাল সৎপথে স্থায়ী থাকিতে পারে।” সুরেশচন্দ্রের সম্বন্ধে এইরূপ নানা প্রকার নিন্দ চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । প্ৰায় সকলেরই তাহার প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মিল । কেবল তঁাহার বাসাস্থিত বন্ধুদিগেরই তঁহার চরিত্রের প্রতি সমুচিত। আস্থা ছিল, তাহারা ভঁাহাকে অবিশ্বাস করিলেন না । । যুবকের নিকট বিবাহের প্রস্তাব উপস্থিত হইলে অনেক যুবকই স্থির থাকিতে পারেন না। তঁাহারা বিবাহের নামে মুগ্ধ হইয়া হিতাহিত বিবেচনাশক্তি এক প্ৰকার রহিত হইয়া পড়েন । বিবাহের প্রস্তাব উপস্থিত হইলে সুরেশচন্দ্রের যে বুদ্ধি বিপর্য্যয় ঘটে নাই, ইহা শুভ লক্ষণ বলিতে হইবে। অধিকতর সুখের বিষয় এই যে, সুরেশচন্দ্র আপনার অবস্থার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । অসচ্ছল অবস্থায় বিবাহ করিয়া । সংসারের অসচ্ছলতা, দুঃখ, দারিদ্র্য বৃদ্ধি করা যে সুবিবেচনার কাৰ্য্য নহে, এ জ্ঞান অনেকেরই নাই । এই জ্ঞানাভাবই আমা