পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিগের জীবনের লক্ষ্য এক নহে, কঁহাদিগের রুচি ভিন্ন, ' 可贾1 ტ* ‘ণয় সুত্রে আবদ্ধ হওয়া কখনই সুবিবেচনা সিদ্ধ নহে । তঁাহারা নিজ নিজ জীবনকে কেবল দুঃখভারাক্রান্ত কৱিবেন, কখনই সুখী হইতে পরিবেন না । অতএব আমা দিগের জীবনের লক্ষ্য কি, পরিণয় সম্বন্ধে কোন প্ৰস্তাব উপস্থিত করিবার পূৰ্ব্বে তাহ নিৰ্দ্ধারণ করা কীৰ্ত্তব্য । আমি ইহা জানি বার নিমিত্তই উপস্থিত হইয়াছি । ] সুরুচি দেখিলেন, তিনি যে এত দিন প্ৰণয়হীন পরিণয়বে। অবৈধকাৰ্য্য মনে করিয়া রাখিয়াছিলেন, কেবল তাহাই অবৈধ এমত নহে, প্ৰণয়ও যে পরিণয়ের মূলসূত্র নহে, এখন তঁাহার ৫ জ্ঞানও জন্মিল। প্রণয় অপেক্ষাও পরিণয়ের যে আরও গৃঢ়তা লক্ষ্য আছে, সুরেশচন্দ্রের সহিত আলাপ করিয়া ভঁাহার এ{ জ্ঞান জন্মিয়াছে বলিয়া তিনি মনে মনে সুরেশচন্দ্রের নিকা কৃতজ্ঞ হইলেন। কিন্তু এই সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার হৃদয়ে একটু আঘাত লাগিল। যদি সুরেশচন্দ্রের জীবনের লক্ষ্যের সহিৎ র্তাহার জীবনের লক্ষ্য এক না হয়, তবে কি করিবেন ? সুরেশ চন্দ্রকে কি পরিত্যাগ করবেন ? এ চিন্তা করিতে র্তাহার শক্তি হইতেছে না । সুরেশচন্দ্ৰ ভঁাহার হৃদয় আধিকার করিয়া বসিয়া ছেন। এ মূৰ্ত্তি হৃদয় হইতে বিসর্জন করিতে যে শক্তির প্রয়ো জন, সুরুচির কোমল প্ৰকৃতিতে সে শক্তি দৃষ্ট হইতেছে না ; কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি পরম প্ৰণয়জনকেও পরিত্যাগ করিতে উপদেশ দেয়। এই উপদেশ যে প্রতিপালন করা। কৰ্ত্তব্য, এদেশীয় স্ত্রীপ্রকৃতিত্ত্বে আজিও সে বল জন্মে নাই । সুরুচি এস্থলে সেই দুৰ্বলতার পরি চয় দিতেছেন । কিন্তু দুৰ্ব্বলতার আশ্রয় লইয়া মনুষ্য, নিশ্চির্য! হইতে পারে না ; সুরুচিও পারিতেছেন না । এক একবার এই এক কথা ভাবিতেছেন । সুরেশচন্দ্রের জীবনের লক্ষ্য তঁাহা