পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরুচির-কুটীর । , লিলেন যে তিনি যখন প্ৰাতঃকালে জমণ করিতে যান, তখন । তিনি নারায়ণকে সঙ্গে লইয়া গেলে এবং আসিবার সময় বাজার রিয়া আসিলে, বড়ই ভাল হয় । সুরেশচন্দ্র এই প্ৰস্তাবে সম্মত । ইলেন । নারায়ণ বেহার প্রদেশের লোক, সুরেশচন্দ্রের নাফিসে চারি টাকা বেতনে বেহারিার কার্য্য করে, সুরেশচন্দ্ৰ | ঢাহাকে খাইতে দেন ; সে তিন বৎসর হইল। তাহার নিকটে আছে এবং তঁাহার সমুদয় কৰ্ম্ম নিৰ্বাহ করে । সুরেশচন্দ্ৰ Iারায়ণকে লইয়া প্রতিদিন বাজার করিয়া আনেন, সুরুচি নিজ - স্ত অন্ন ব্যঞ্জন পাক করেন ; দেখিতে দেখিতে পােচ সাত প্ৰকার প্ৰস্তুত করেন । সুরেশচন্দ্ৰ আহার করিতে বসিয়া বোধ করেন, যেন পঞ্চামৃত আহার করিতেছেন । সুরেশচন্দ্ৰ আফিসে যান, সুতরাং তঁাহাকে দিনের বেলা আতি শীঘ্র শীঘ্ৰ আহার করিতে হয়, এই জন্য র্তাহাদিগের স্বামী স্ত্রীর দিনে একত্রে আহার করিবার সুযোগ এখনও হইয়া উঠে নাই, তবে রাত্ৰিযোগে উভয়েই একত্রে আহার করিতে বসেন এবং নানাপ্রকার আমোদ আহলাদ করিয়া ভোজন করেন । তিন চারি দিনের হিসাব করিয়া দেখা গেল, চাকরাণীর হাতে যে খরচ হইত, তাহা অপেক্ষা অল্প ব্যয়ে অনেক ভাল দ্রব্যাদি পাওয়া ফাইতেছে ; সুতরাং অল্প পয়সায়ও অতি উত্তম আহার হইতেছে । চাকরাণীকে বিদায় করিয়া দিয়া সুরুচি। একজন নূতন চাকরাণীর জন্য মাতার নিকট পত্ৰ লিখিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মদাস বাবুর কল্যাণীয়া সুরুচি, তোমার পত্ৰ পাইয়া জানিলাম, তুমি চাকরাণীর জ্বালায় ব্যতিব্যস্ত হইয়াছ। যাশীর দ্বারা একজন ভাল ~ চাকরাণীর অনুসন্ধান করিয়া পাঠাইতে লিখিয়াছ। তুমি এখনও একপ্রকার