পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a সুরুচির- ठूप्रैन्न যদি তোমার উপদেশানুসারে কার্য্য করিতে প্ৰস্তুত হয়, তবে তাহার কার্য্যাদি বিশূেনা জানা থাকিলেও কোন ক্ষতি নাই, বরং তা হাতে কতক লাভই আছে, তুমি নিজ ইচ্ছানুসারে তাহাকে প্রস্তুত করিয়া লইতে পারিবে। ভূত্যকে অকারণে বা অল্প কারণে যে তিরস্কার করা কীৰ্ত্তব্য নহে, এবং তাহাদিগের প্রতি স্নেহ মমতা প্ৰকাশ করা আবশ্যক, তাহা তোমাকে স্মরণ করিায়া দেওয়ার প্রয়োজন নাই । যদি তোমার নিতান্তই অসুবিধা য়, লিখিও, আমি অগত্য যশীকেই পাঠাইয়া দিব । মাতার পত্ৰ পাইয়া সুরুচির অনেক জ্ঞান লাভ হইল। বড় লোকের গৃহে যাহারা চাকরাণীর কার্য্য করিয়াছে, তাহাদিগকে চাকরাণী নিযুক্ত করিয়া যে দুৰ্দশা ভোগ করিতে হয়, সুরুচি তাহার যথেষ্ট পরিচয় আগ্ৰেই পাইয়াছেন। এখন সঙ্কল্প করিলেন, মাতা যেরূপ পরামর্শ দিয়াছেন, যত দিন তেমন চাকরাণী না পাইবেন, তত দিন তিনি চাকরাণী রাখিবেন না। কিছু দিন সুরুচিকে চাকরাণী ভিন্নই কাৰ্য্য চালাইতে হইল। অবশেষে তিনি ইচ্ছানুরূপ চাকরাণী প্ৰাপ্ত হইলেন। চাকরাণীর নাম বিমলা, বাড়ী মেদিনীপুরের জেলায় । বিমলা অল্প বয়সে বিধবা, তাহার ত্রিসংসারে আর কেহই নাই। এখন তাহার বয়স ২২ বৎসর। দেশে এক ব্ৰাহ্মণের বাড়ী কাজ করিত। ব্ৰাহ্মণের স্ত্রী বড় মুখরা, বিমলাকে সৰ্ব্বদা তিরস্কার করিতেন এবং কখন কখন প্রহারও করিতেন। বিমলা রাগ করিয়া গ্রামের অন্যান্য স্ত্রীলোকের সঙ্গে কলিকাতায় কাজ করিতে আসিয়াছে। সুরেশ চন্দ্রের প্রথম আশ্রয় স্থান ছাত্রদিগের বাসায় বিমলার গ্রামের এক স্ত্রীলোক কাজ করে, সে বিমলাকে আনিয়া সুরেশচন্দ্রের গৃহে নিযুক্ত করিয়া দিয়াছে। বিমলা আনিয়া কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইল। কিন্তু সুরুচি তাহাকে তিন চারি দিন অন্য কাৰ্য্য করিতে