পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । - 8s দিলেন না ; কেবল এই মাত্র বলিয়া দিলেন, গৃহের কোন স্থানে কোনু দ্রব্য রহিয়াছে, তুমি তিন চারিদিন তাহা ভাল করিয়া দেখিয়া লও, যখন দেখিব যে সমুদয় দ্রব্য তোমার চক্ষের উপর ভাসিতেছে, যখন যাহা আনিতে বলি, তুমি তৎক্ষণাৎ তাহা আনিতে পারিতেছি এবং কাৰ্য্যশেষ হইলে পুনরায় সেই স্থানে লইয়া। রাখিতে পারিতেছি, তখনই তোমার উপর কাৰ্য্যের ভার দিব । ) বিমলার বুদ্ধি আছে, সে কত্রীর পরামর্শানুসারে চলিয়া তিন । চারি দিনের মধ্যেই দ্রব্যাদির যথাস্থান নির্দেশ করিতে পাবিল । মা ঠাকুরাণী যে দ্রব্য যেখানে রাখিতেন, সে সেই রূপ রাখিতে। লাগিল। বিমলা দ্রব্যাদি সুশৃঙ্খলায় রাখিতে শিখিয়াছে দেখিয়া; সুরুচি তাহাকে ক্ৰমে ক্ৰমে গৃহ কাৰ্য্যের অন্যান্য বিষয়ও দেখাইয়া দিতে লাগিলেন। তাহার ক্রটি দেখিলে, তাহাকে তির-১, স্কার না করিয়া মা ঠাকুরাণী তাহাকে ত্রুটি বুঝাইয়া দেন, ভবিষ্যতে এ ত্রুটি যেন আর না হয়, এইরূপ সাবধান করিয়া থাকেন, তাহাকে স্নেহ করেন, এবং আপনারা যে সকল দ্রব্য আহার করেন তাহার একাংশ তাহাকে দেন, এই সকল কারণে বিমলা মা ঠাকুরাণীর বড়ই বশীভুত হইয়াছে। মা ঠাকুরাণী যাহাতে, অসন্তুষ্ট হইবেন সে এমন কোন কাৰ্য্য করে না। যাহাকে দেখে, তাহার নিকটই শত মুখে মাঠাকুরাণীর প্রশংসা করে। মাঠাকুরাণীর প্রতি সন্তুষ্ট হইবার বিমলার আর একটী কারণ আছে। বিমলা স্বদেশে যে ব্ৰাহ্মণের বাড়ীতে চাকরাণী ছিল, সেই বাড়ীর সকলে তাহাকে বিমলী বলিয়া ডাকিত, সুরুচির গৃহে, বিমলা যে দিন আসিয়াছে সেই দিন সুরুচির মুখে স্নেহমাখা। *বিমল’ ডাক শুনি য়া বিমলার হৃদয় গলিয়া গিয়াছে। এই এক কথায়ই সে মাঠাকুরমণীকে বড় ভাল মানুষ বলিয়া- ঠিক করিয়াছিল । বস্তুতঃ তাহার সে অনুমান অসঙ্গত হয় নাই । ... একীি