পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুচির গৃহে আর যে সকল খাদ্য দ্রব্যের প্রয়োজন, তাহা প্রতিদিন বাজার হইতে ক্ৰয় করা হয় না । সুরেশচন্দ্ৰ প্ৰতি Iাসের শেষ শনিবার পুর মাসের আবশ্যক পরিমাণ সমুদয় দিব্য ক্রয় করেন, এবং রবিবার সুরুচি ও বিমলা পরিশ্রম করিয়া চাহা সুপরিষ্কত করিয়া যথাস্থানে রাখিয়া দেন, একত্রে দ্রব্যাদি ক্ষয় করাতে বৃথা সময় নষ্ট হয় না । যেখানে যে দ্রব্য সুবিধায় পাওয়া যায়, সুরেশচন্দ্র একদিন পরিশ্রম করিয়া তাহ সংগ্ৰহ করিতে ক্লেশ বোধ করেন না । আজ তেল নাই, লুন নাই, এই কথা সৰ্ব্বদা শুনিতে হয় না ; অথচ ব্যয়ও অল্প হইয়া থাকে । MODOos দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । সুরেশচন্দ্ৰ সাত বৎসর আরবাথনট হুইলার কোম্পানির কাৰ্য্যালয়ে কেরাণীগিরি করিতেছেন । তিনি যে পঞ্চাশ টাকা মাসিক বেতনে প্ৰবেশ করিয়াছিলেন এখনও তাহার সেই বেতনই রহিয়াছে। তঁহার বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় তিনি কিছু ক্ষুব্ধ হইয়াছেন । তিনি যদি অযোগ্য লোকদিগের বেতন বৃদ্ধি হইতে না দেখিতেন, তাহা হইলে তঁাহার অসন্তোষের কোন কারণ থাকিত না । কিন্তু আফিসের বড় বাবুর আত্মীয় স্বজনেরা নিতান্ত অপদার্থ হইলেও দুই এক বৎসর। अरुद्ध छे ऊँiश्ांদিগের কিছু কিছু বেতন বৃদ্ধি হইতেছে ; তঁাহার এক পুত্র ও শ্যালক সুরেশচন্দ্রের অধস্তন পদে নিযুক্ত হইয়াও তঁহাকে অতিক্ৰম করিয়া উপরিস্থ পদে নিযুক্ত হইয়াছেন । অথচ তাহারা আপনাদিগের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম নিৰ্বাহ করিতে সমর্থ হইতে