পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ ।। ১ te ছেন না ; সুরেশচন্দ্ৰকেই তঁহাদিগের কাৰ্য্য সমাধা করিতে | হয়। এমন অবস্থায় সুরেশচন্দ্রের মনে ষে কষ্ট হইবে, তাহা আশ্চৰ্য্য নহে। তিনি এইরূপ অবিচার দেখিয়া অনেক বার কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিবার অভিপ্ৰায় করিয়াছেন । কিন্তু আরও কিঞ্চিৎ সংস্থান না করিয়া কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিলে যদি শেষে বিপন্ন হইতে হয়, এই আশঙ্কায় কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিতে পারেন। সুরেশচন্দ্ৰ কায়স্থ হইয়া ব্ৰাহ্মণের বিধবা কন্যা বিবাহ করিায়াছেন, শুনিয়া বড় বাবু তঁাহার প্রতি বড়ই অসন্তুষ্ট হইয়াছেন। তঁহাকে প্ৰকাশ্যভাবে কিছু বলিতে পারিতেছেন না, কেন না। তাহার কাৰ্য্যে কোন দোষ পাইতেছেন না । কিন্তু গোপনে এমন কৌশল সকল অবলম্বন করিতেছেন, যেন তিনি বিরক্ত হইয়া আপনা হইতেই কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন। পূৰ্বেই বলা হইয়াছে, সুরেশচন্দ্রকে বড় বাবুর আত্মীয়বর্গের মধ্যে অনেকেরই কাৰ্য্য সমাধা করিয়া দিতে হইত, তাহারা আমোদ আহলাদ করিয়া সময় অতিবাহিত করিতেন । বিবাহের পর হইতে সুরেশচন্দ্ৰকে এত কাৰ্য্যের ভার দেওয়া হইল যে, তিনি অফিসে তাহা কোন ক্রমেই শেষ করিতে পারিতেছেন না । গৃহে আসিয়াও সেই কাৰ্য্য শেষ করিতে প্ৰায় প্রতিদিনই দ্বিপ্রহর রাত্ৰি হইতেছে । সুরেশচন্দ্ৰ যদি বিবাহ না করিতেন, তবে এইরূপ ব্যবহারে তিনি নিশ্চয়ই কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিাতেন। সুরুচি ভঁাহাকে ক্ৰমান্বয়ে কয়েক দিন এইরূপ রাত্ৰি জাগরণ করিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার দ্বারা এই সকল কাৰ্য্যের কিছু সাহায্য হইতে পারে কি না । , , সুরেশ । তোমার সুন্দর হস্তাক্ষর আমার অনেক কাৰ্য্যে আসিতে পারে। কিন্তু তোমাকেও এ দুৰ্গতিজনক দাসত্বের