পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tW) ኳ श्रुब्रुि-बूौद्र ঙ্গিনী করিতে আমার প্রবৃত্তি হইতেছে না । আমার ইচ্ছা! হয়, এখনই এ দাসত্বের বন্ধন ছিন্ন করি, এই দুৰ্গতি ভোগ অপেক্ষ এক সন্ধ্যা শাকান্ন আহার করিয়া থাকাও শ্রেয় বোধ হইতেছে । সুরুচি। সুরেশ, তোমার সুখ দুঃখের সঙ্গিনী হইতে কি ভূমি আমাকে নিষেধ করিতেছ? আমার হস্তাক্ষর যদি তোমার কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হইতে পারে, আমায় সে অধিকার দিবে না। কেন ? তোমার কার্য্য পরিত্যাগ করা স্বতন্ত্র কথা, যদি তোমার এ কাৰ্য্য করিতে প্ৰবৃত্তি না থাকে, পরিত্যাগ করা ; সংসার কিরূপে চলিবে, তজন্য অধিক ভাবিতে হইবে না । সুদের দ্বারা আমাদিগের প্রতি মাসে প্রায় ত্ৰিশ টাকা আয় হয় ; এই আয়ে আমাদিগের ক্ষুদ্র সংসার না চলিতে পারে এমন নহে । আর আমরা দুই জনে চেষ্টা করিলে অন্য উপায়েও কিছু আয় করিতে পারি। কিন্তু তুমি আর কিছু দিন পরে কার্য্য পরিাত্যাগ কর, এই আমার ইচ্ছা । শত্রুর কৌশল সফল হইতে দেওয়া উচিত নহে । যখন দেখিবে, তাহারা তোমায় নিৰ্যাতন করিতে না পারিয়া পরাস্ত হইয়াছে, তখনই কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিতে পার। আমি প্রতিদিন তোমায় কতক সাহায্য করিব । এই বলিয়া সুরুচিও সুরেশচন্দ্রের সহিত একত্রে লিখিতে বসিলেন । সুরুচির হস্তাক্ষর সুরেশচন্দ্রের অপেক্ষাও সুন্দর { সুরেশ দেখিয়া আনন্দে ভাসিয়া গেলেন । অন্যের নিকট পরাস্ত হইলে এত আনন্দ হয়, সুরেশ আগ্ৰে জানিতেন না । সুরুচি। এইরূপ ক্ৰমান্বয়ে তিন চারি দিন লিখিতে লাগিলেন । দৈবাৎ সুরেশচন্দ্রের ভাগ্য প্ৰসন্ন হইল। - একদিন আফিসের বড় সাহেব, মিষ্টার আরবাথনট আফ্রিসের কতকগুলি হিসাবে স্ত্রী হস্তাক্ষৱ দেখিতে পাইয়া কিছু বিস্মিত হইলেন । বড় বুধবা