পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ኴ স্বরুচির-কুটীর। চন্দ্ৰ বিদায় লইয়া আসিবার সময়, আরবাথনট সাহেব সুরুচিকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, আপনার স্বামীর প্রতি এত দিন নিতান্ত আবিচার করা হইয়াছে ; আমি শীঘ্রই সে ক্রটি সংশোধন করিব । সোমবার আফিসে রাষ্ট্র হইল, বড় সাহেব, সুরেশচন্দ্র এবং ঊর্তাহার স্ত্রীকে শনিবার আহারের নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন । এই কথা প্ৰকাশিত হইলে পর, সুরেশচন্দ্রের সহিত অনেকেই উপযাচিত হইয়া আলাপ করিতে আসিলেন । এমন কি বড় বাবুর পৰ্যন্ত পুৰ্ব্ব প্ৰকোপ রহিল না, সুরেশচন্দ্রের সহিত তিনিও আপ্যায়িততা করিতে প্ৰস্তুত হইলেন । যাহা হউক, সুরেশচন্দ্ৰকে এই কাৰ্য্যে অধিক দিন থাকিতে হইল না । আরবাথনট হুইলার কোম্পানি আর একটী ব্যবসায় আরম্ভ করিয়াছিলেন। একপক্ষ গত না হইতেই সুরেশচন্দ্রের বেতন আপাততঃ একশত টাকা নির্দিষ্ট হইল। বড়সাহেব তাহাকে বলিয়া দিলেন, ব্যবসায়ের শ্ৰীবৃদ্ধি হইলেই তাহার বেতনও ক্ৰমে বৃদ্ধি হইবে । -OOOO ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ। সুরুচি ও সুরেশচন্দ্রের পরোপকার সাধন । সুরুচি নুতন গৃহে আগমন করিলে পর, তঁাহার প্রতিবেশী- “ মণ্ডলী তঁহাকে দেখিতে আসিল । তিনি তাহাদিগকে যথেষ্ট । সমাদর করিলেন, সস্নেহ ব্যবহারে লোক যেমন প্ৰসন্ন হয়, এমন । আর কিছুতেই নহে। সুরুচির আদরে তাহারা পরম পরিতুষ্ট হইল। প্রতি দিনই তাহাদিগের অনেকে সুরুচিকে দেখিত্বে