পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ। us এই রূপে নূতন ব্যবসায়ের তিন মাস। গত হইল, সুরেশী-{ চন্দ্ৰ ইহার কিছুই জানিতে পারেন নাই। তিনি যখন কৰ্ম্ম পরিাত্যাগ করিবার কথা উপস্থিত করেন, তখন সুরুচি। এই নূতন | ব্যবসায়ের প্রতি লক্ষ্য করিয়াই বলিয়াছিলেন, “ আমরা উভয়ে চেষ্টা করিলে অন্য প্রকারেও কিছু আয় করিতে পারি।” সুরেশ্ন। চন্দ্রের যখন বেতন বৃদ্ধি হইল এবং অন্যায়-ভারগ্রস্ত পরিশ্রমের লাঘব হইল, তখন তিনি প্রতিবেশীমণ্ডলীর উপকার সঙ্কল্প করিয়া সুরুচিকে নিজের ইচ্ছা জ্ঞাপন করিলেন । সুরুচি হাসিয়া বলিলেন, সুরেশ, এখন আর তোমার নিকট আত্মগোপন করিয়া, রাখা সঙ্গত হয় না। তুমি যখন নিজ হৃদয়ের সাধু ইচ্ছ। আমার! নিকট প্রকাশ করিয়াছ, তখন আমার নিজ কাৰ্য্যের কথাও| তোমাকে বলা উচিত। আমি এত দিন না বলিয়া যে অপরাধ করিয়াছি ক্ষমা করিও । আমি যে নিজ অবলম্বিত কাৰ্য্যে কৃত কাৰ্য হইব, এ আশা আমার ছিল না, এই জন্যই তোমাকে অনেকবার বলিতে ইচ্ছা করিয়াও সঙ্কুচিত হইয়াছি। এখন ঈশ্বরেচ্ছায় কৃতকাৰ্য হইবার সম্ভাবনা হইয়াছে। এই বলিয়া| সুরুচি সমুদয় কথা বলিলেন। সুরেশের চক্ষুতে আনন্দাশ্ৰ} আর ধরিল না। কাহার কত টাকা জমা হইয়াছে, তিনি একে একে সমুদায় দেখিলেন এবং হাসিয়া বলিছেন, সুর, তুমি যে বৃহৎ সেবিষ্কস ব্যাঙ্ক হইয়া উঠিলে। আমার এখন আশা হই তেছে যে, অন্যের দাসত্ব না করিলেও চলিতে পারিবে। বরং| তোমার ব্যাকেই চাকুরী করিব।” সুরেশচন্দ্রের হৃদয়ে তখন যে আনন্দলহরী খেলিতেছিল, কে তাহার গণনা করিবে ? তিনি। ভাবিতেছিলেন, যদি সমুদয় কুলকন্যা আপনাদিগের অবসর কাল এইরূপে নিযুক্ত করিতেন, তাহা হইলে সংসারের श्ःश्ः দরিদ্রতা কত হ্রাস হইত। যাহারা বলেন, গৃহই স্ত্রীলোকে।