পাতা:সুরুচির কুটীর - দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশ্নটি ব্ল কুটার । موا স্তু অধিক উৎপাদন করা আবশ্যক। সুরুচির বাগানে নানা প্রকার তরকারী এত জন্মিয়া থাকে যে, তাহাকে প্রায় কিছুই ক্রিয় করিতে হয় না । এমন কি তিনি প্ৰতিবেশীমণ্ডলীকে অনেক দ্রব্য বিতরণ করিয়া থাকেন । সুরুচি অপচয়ের বড় বিরোধী। যৎসামান্য দ্রব্যও অযথা নষ্ট হইতে দেখিলে তিনি দুঃখিত হন । তঁহার গৃহের ফেণ, ভাত, তারকারীর খোলা প্রভৃতি ফেলিয়াদিতে হয় এবং তা হাতে আবৰ্জন রুদ্ধি হইয়া থাকে, ইহা দেখিয়া সুরুচির কষ্ট বোধ হইতে লাগিল । তিনি ইহা প্ৰতিবিধানের এক উপায় স্থির করিলেন। সুরেশচন্দ্রকে বলিয়া চল্লিশ টাকা মূল্যে একটী গরু ক্রয় করাইলেন । গরুটী দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ বলিয়া তাহার নাম ধবলী রাখা হইয়াছে। ধবলীর প্রতিদিন দুবেলায় পাঁচ { সের দুগ্ধ হইয়া থাকে। সুরুচি স্থত, মাখম, ক্ষীর, শার নানা |দ্রব্য প্ৰস্তুত করেন । ধবলী গৃহে আসিলে পর, সুরুচির কোন দ্রব্য নষ্ট হইতেছে না । গোময় দ্বারা বাগানের উত্তম সার প্রস্তুত হইতেছে। ধবলীর জন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত ব্যয় দুই আনার অধিক অতিক্রম করে না । নারায়ণ সিংহ, ধবলীর সেবা করে । নারায়ণ বেহারিার কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া সুরেশচন্দ্রের নূতন কাৰ্য্যালয়ে চাপরাসী হইয়াছে; তদবধি অফিসে তাহার নারায়ণ সিংহ নাম হইয়াছে ; বাড়ীর সকল লোকেও নারায়ণ সিংহ বলিয়াই ডাকেন। নূতন কৰ্ম্মে প্রবেশ করিবার এক বৎসর পর সুরেশচন্দ্রের বেতন দেড় শত টাকা হইয়াছে। সুরুচির অনুরোধে সুরেশচন্দ্ৰ এখন গাড়ী ঘোড়া করিয়াছেন । তাহাতে তাহার মাসিক ব্যয় প্রায় পঁচিশ টাকা বৃদ্ধি হইয়াছে। কিন্তু সুরুচি সাংসারিক ব্যয় কিছু লাঘব করিয়াছেন। পুৰ্দেই বলা হইয়াছে, সুরুচির গৃহে ।