পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ত্তব্যটাকে গদাস্বরূপ ক’রে হন্তে হয়ে বেড়ায়, তারা ক্ষত্রিয়। আবার কেউবা কৰ্ত্তব্য করে না, কাজ করে, যে কাজে লোভ নেই লাভ নেই, যে কাজে গুরুমশায়ের শাসন বা গুরুর অনুশাসন নেই –তাদের জাতই স্বতন্ত্র। যখন তুমি বৌদ্ধিক অর্থনীতিসম্বন্ধে বই লিখবে তখন আমার এই তত্ত্বকথাটা চুরি করে চালিয়ো, নালিশ করব না। যে সব বই লিখেছি তার চেয়ে অনেক বেশি বই লিখিনি, সঙ্গীত সম্বন্ধে আমার মাষ্টারপীসটা সেই অলিখিত রচনা-রত্ন-ভাণ্ডাগারে রয়ে গেল। আমার সব মত যদি নিজেই স্পষ্ট ক’রে লিখে দিয়ে যাব তবে যারা থীসিস্ লিখে খ্যাতি অজ্জন করবে তাদের যে বঞ্চিত করা হবে । সেই সব অনাগতকালের থীসিস-রচয়িতার কল্পছবি আমার মনের সামনে ভাসছে, তার একাগ্রচিত্তে অতীতের আবর্জনাকুণ্ড থেকে জীর্ণ বাণীর ছিন্ন অংশ ঘেঁটে বের ক’রে তাব ঘণ্ট তৈরি করছে—যে অংশ পাওয়া যাচ্ছে না সেইটেতেই তাদের মহোল্লাস । আমি তাদের আশীৰ্ব্বাদভাজন হোতে চাই । ইতি তোমাদের মাঘ, ১৩৪১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর