পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি তার অননুকরণীয় ভাষায় প্রকাশ করেন । দুঃখের বিষয় এই যে বক্তৃতাটি যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। জানুয়ারী মাসে লক্ষে ফিরে গিয়েই তাকে সঙ্গীত সম্বন্ধে অন্ততঃ একটি পুস্তিকা লেখবার তাগিদ দিতে সুরু করি। স্বাস্থ্যের ও সময়ের অভাবে তিনি পুস্তিকা লিখতে পারেননি। আমাকে চিঠি দিতেন, আমি ও উত্তর দিতাম, প্রশ্ন করতাম। আমার সকল চিঠির নকল রাখিনি । তার পর লাহোর থেকে ফেরবার পথে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি লক্ষ্মেী-এ তিন দিন অধ্যাপক নিৰ্ম্মল সিদ্ধান্ত এবং শ্ৰীযুক্ত চিত্ৰলেখা দেীর অতিথি হন। সেই সময় তার সঙ্গে মৌখিক আলোচনারও সুযোগ পাই । এক সন্ধ্যায় গানের জলসা হয়। তখন তার ১০২ ডিগ্রীর ওপর জর । শ্ৰীকৃষ্ণ রতঞ্জনকার ছায়ানট, জয়জয়ন্তী ও পরজের খেয়াল গেয়েছিলেন —রাত্রি এগারটা পর্য্যন্ত তিনি প্রায় ধ্যানস্থ হয়ে গান শুনলেন । শ্রীকৃষ্ণের গান তবে অত্যন্ত ভাল লেগেছিল । আসর ভাঙ্গবার পর তিনি আমাকে বলেন, ‘গান আমার খুবই ভাল লাগল । কিন্তু সেই ভাল-লগাব সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে গোট কয়েক প্রশ্ন উঠেছে—তোমাকে তার উত্তর দিতেই হবে । গায়কের মুসের গান থামবে কখন ? প্রত্যেক রসস্বষ্টিতেই একটি থামবার ইঙ্গিত থাকে-ধ্রুপদে আছে, বাংলা গানে আছে, যন্ত ভটের, গোসাইএর গলায় ছিল, কিন্তু থেয়ালে থাকবেন কেন ? একই গানে গায়ক তার সমগ্র সুর ও সঙ্গতি > }