পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ। যে-যুগে সৃষ্টি সেই যুগেই সমালোচনা, মজুরী বাড়বা র সঙ্গে সঙ্গেই ধৰ্ম্মঘট । আজ কয়েক বৎসরের মধ্যে হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রতি নতুন আগ্রহ জেগেছে—তাই এই সময় সমালোচনার প্রয়োজন উঠল। নতুন আগ্রহের একদিক হল পুনরুদ্ধার ও পুনরাবৃত্তি, অন্ত দিক হল নতুন ঢঙ এর স্ষ্টি । ঐতিহ্যের প্রধান গুণ হল এই যে তাকে নতুনের বিচার-দণ্ড হিসেবেও ধরা যায়। এইখানেই পুনরুদ্ধারের আধুনিক প্রয়োজন । কিন্তু পুরাতন সংস্কৃতি নব্য-প্রাসের বিচারের জন্য ব্যবহৃত হল কি তাকে শাস্তি দেবার জন্ত দণ্ড হিসেবে চালান হল বিচার করবে কে ? সাহিত্য-সমালোচনায় যা হচ্ছে সঙ্গীত সমালোচনাতেও তাই তবে । বাংলা সাহিত্য আজকাল বিশ্ব-সাহিত্যের শ্রেণীতে ওঠবর প্রয়াসী, তাই ধিনি লেখক ব’লে গণ্য হবার দাবী কবেন তাকে বিশ্ব-সাহিত্যের পরিমাণে পরীক্ষিত হ’তে সদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। পরীক্ষকের স্বজাতি বলেই তিনি পাব পাবেন না । কিন্তু আমাদের সঙ্গীত এথন ও বিশ্বের সাথে যুক্ত হয় নি। সেটা যে অন্ত দেশের সঙ্গীতের মতনই এক প্রকারের সঙ্গীত, অতএব তার যথাবিহিত সমালোচনার প্রযোজন রয়েছে, এটুকু আমরা হৃদয়ঙ্গম করিনি। সাহিতো আমরা অনেকটা হয়ত বঝেছি যে বাঙ্গালী ও মানুষ, তার অনুষ্ঠান জাগতিক অনুষ্ঠানের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার কবে আছে, সুর জীবন অন্য জাতির জীবনের সাথে সুব ও সঙ্গতি ఏ ఏ