পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্কীর্ণ ; কিন্তু তার অস্তিত্ব উড়িয়ে দেব না, যদিও তাই নিয়ে মোকদমা করতে রাজি নই। বিশ্বাস আছে, আপনাকে বুঝিয়ে বল্লে সে জমিটুকু স্ব-ইচ্ছায় ছেড়ে দেবেন। এবং প্রতিবেশী হিসেবে আমার বদনাম নেই। আমার নিজের বক্তব্য হল এই ঃ আলাপে যখন রচনার মত কোন সৌষ্ঠব-সম্পন্ন কথা-বস্তুর দাবী স্বীকার করবার পূৰ্ব্বোক্ত ধরণের বিশেষ ও জরুরী দায়িত্ব নেই, তখন আলাপের রীতি-নীতি রচনার গায়কী-পদ্ধতি থেকে ভিন্ন হবেই হবে । রচনা হল কথা ও স্বরের মিশ্রণে এক নতুন রস-সামগ্ৰী । আলাপ কিন্তু প্রাথমিক, রাগিণীর রূপবিকাশই তার একমাত্র কাজ, এখানে না তাছে অর্থবাহী কথা, না আছে কথাবাহী অর্থ। আলাপের গন্তব্য নেই, তথচ উদ্দেশ্য আছে । উদ্দেশ্য বিকাশের মধ্যেই নিহিত । উদেশ্ব রাগিণীকে reveal কবা—উদেশ্বসাধনের উপায় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যস্থাপনা। ঐশ্বৰ্য্য দেখান কোন আটিষ্টেরই কাম্য হতে পারে না, কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যস্থাপন নিশ্চয়ই হ্যায়সঙ্গত। রচনায় পূৰ্ব্ব হতেই ঐক্য দেওয়া আছে— ૨૭ সুব ও সঙ্গতি