পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্প্রসারণের জন্য জ্ঞানকে আশ্রয় পরিত্যাগ করতে হয়, তবেই তার মূলতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়। তত্ত্বমূলের পাট করলে পরগাছা যায় মরে, গাছ তখন নিজের ফলফুলে শোভিত হয়ে স্বকীয়তার গৌরব অনুভব করে। জ্ঞানচর্চার এই হল স্বকীয়তা-সাধন। পরের অধ্যায় ও আবশ্ব আছে—কিন্তু সেটা গাছে অকিড ঝোলানর মতনই । অতএব, আলাপের রীতিনীতি বাদ দেওয়া যায় না সঙ্গীত-আলোচনা থেকে । ধরুন, ছায়ানটের আলাপ হচ্ছে । ছায়ানটের আরোহী, অবরোহী, তার বাদী, সম্বাদী, তার বিশেষ পকড় দেখিয়ে ছায়ানটের ঘট-স্থাপনা হল। কিন্তু সেইখানে থামলেই কি ছায়ানটের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল, তার প্রকৃতি ফুটল ? এযে সেই ভক্তের কথা যিনি প্রতিমার মুণ্ডু পরাবার পূর্বেই বলেছিলেন, ‘আহা ! মা যেন হাসছেন ! অন্ত ভাষায় বলি—আমার আমিত্ব প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য নেতিবিচারেব দ্বারা পার্থক্য-অনুভূতিব কি কোন প্রয়োজনই নেই ? যে সব যোগীর পূর্ণ সমাধি হয় তাদের বেলা তারা আছেন এই যথেষ্ট । সাহিত্যে যেমন, আপনার লেখায়, পরেশবাবু ও २b' সুব ও সঙ্গতি