পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্ব হতেই কোনো রচয়িতার হাতে নির্দিষ্ট রূপ পায়নি। আলাপে গায়ক আপন শক্তি ও রুচি অনুসারে তাদের রূপ দিতে দিতে চলেন । এ স্থলে অত্যন্ত সহজ কথাটা এই, যিনি পারলেন রূপ দিতে র্তাকে আর্টিষ্ট হিসাবে বলব ধন্য, যিনি পারলেন না, কেবল উপাদানটাকে নিয়ে তুলে ধুনতে লাগলেন তাকে গীতবিদ্যা-বিশারদ বলতে পারি কিন্তু আর্টিষ্ট বলতে পারিনে—অর্থাৎ তাকে ওস্তাদ বলতে পারি কিন্তু কালোয়াৎ বলতে পারবন । কালোয়াৎ অর্থাৎ কলাবৎ । কলা শব্দের মধ্যেই আছে সীমাবদ্ধতার তত্ত্ব, সেই সীমা, যেটা রূপেরই সীমা । সেই সীমা রূপের আপন আন্তরিক তাগিদেই অপরিহার্য্য ; প্রদর্শনীতে সীমা অপরিহার্য্য নয়, সেটা কেবলমাত্র বাহিরের স্থানাভাব বা সময়াভাব বশতই ঘটে । আলাপ যদি রাগিণীর প্রদর্শনীর দায়িত্ব নেয় তাহলে সেই দিক থেকে বিচার করে তাকে প্রশংসা করাও চলে। যে দুৰ্ব্বলাত্মা পাণ্ডিত্যের ভারে অভিভূত হয় সে প্রশংসা করেও থাকে ; সে লুব্ধ মুগ্ধ ভাবে মনে করে অনেক পাওয়া গেল, কিন্তু “অনেক’ নামক ওজনওয়ালা সুর ও সঙ্গতি (? ) (مان