পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বইল বর্ণনার, তটের রেখা লুপ্ত হয়ে গেল, পাঠক বললে, বেশ লাগচে । এই বেশ লাগা পরিমাণ মানে না। এমন স্থলে রচনার সমগ্রতাটা বাহন হয়ে দাসত্ব করে তার উপকরণের, সে আপন পূর্ণতার মাহাত্ম্যকে অকাতরে চাপা পড়তে দেয় আপন স্তৃপাকার দ্রব্যসম্ভারের তলায়। সংস্কৃত সাহিত্যে কাদম্বরীর ছাদে গল্প রচনা আর দুটি একটিমাত্র দৃষ্টান্ত লাভ করেছে, ও আর চলল না। যেমন একদা মেগাথেরিয়ম, ডাইনসর প্রভৃতি অতিকায় জন্তু আপন অসঙ্গত তাতিকৃতির বোঝা অধিক দিন বইতে পারল না, গেল লুপ্ত হয়ে, এও তেমনি । সংস্কৃত সাহিত্য-অভিমানী কোনো দুঃসাহসিক আজ কাদম্বরীর অনুসরণে বাংলায় গল্প লেখবার চেষ্টা করবেই না—তার কারণ ওর মধ্যে শিল্পের সদাচার নেই । কিন্তু আমাদেব সঙ্গীতে আজও কাদম্ববীব পাল চলচে। আধুনিক বাংলা সাহিত্য বিশ্বসাহিত্যের ংস্রবে এসেছে ; তাই আমাদের এমন একটা অভ্যাস দাড়িয়ে গেছে যে এই সাহিত্যে কলাতত্ত্বের মূলগত ব্যতিক্রম ঘটা অসম্ভব। কিন্তু হিন্দুস্থানী গান ব্যবসায়ী গায়কদের গতানুগতিক রবার-নিৰ্ম্মিত ঝুলির মধ্যে ○ ゲ সুল ও সঙ্গতি