পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম-জপনের মালা এনে দে, আর জল পান করবার তুম্বী – ঐ ফর্দে উদ্ধৃত ফরমাসী জিনিষগুলিতে যে সুগভীর বৈরাগ্যের ব্যঞ্জনা আছে পরজ রাগিণীই ত৷ ব্যক্ত করবার ভার নিয়েছে। ভাষাকে দিয়েছে সম্পূর্ণ ছুটি। আমি বাঙালী, আমার স্কন্ধে নিতান্তই যদি বৈরাগ্য ভর করত, তবে লিখতুম — গুরু আমায়, মুক্তিধনের দেখাও দিশ । কম্বল মোর সম্বল হোক দিবানিশা । সম্পদ হোক জপের মাল৷ নাম-মণির দীপ্তিজালা, তুম্বীতে পান করব যে জল মিটবে তাহে বিষয়তৃষা । কিন্তু এ গানে পরজ তার ডানা মেলতে বাধা পেত । পরজ হোত সাহিত্যের খাচার পাখী । হিন্দুস্থানী গাইয়ে তানপুরা নিয়ে বসলেন, বললেন, “আমার এই চুণরিয়া লাল রং করে দে ; যেমন তোর ঐ পাগড়ি তেমনি আমার এই চুণরিয়া লাল রং ক’রে দে।” বাস আর কিছু নয়, এই ক'টি কথার উপর কানাড়া অপ্রতিহত প্রভাবে রাজত্ব বিস্তার করলে । বাঙালী গাইলে,— সুব ও সঙ্গতি من برb