পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । ) とい○ হইল যে, দুগ্ধবিক্রেতা গোপজাতীয় যে স্ত্রীলোকটি প্রতিদিন নিয়মিতরূপে তাহাদের বাটতে দুগ্ধ বিক্রয় করিত, তদ্বারা সংবাদ আদান প্রদান হইলে, অতি সঙ্গোপণে অভীষ্টসিদ্ধি হইতে পারে। তদনুসারে বসন্ত, প্রথমে অন্যান্য বিষয়ক আলাপ করিয়া গোপ কামিনীর স্বভাব ও মনের ভাব পরিজ্ঞাত হইলেন। পরি শেষে আত্মাভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া কহিলেন, তুমি কৌশলক্রমে অগ্ৰে সেই কন্যার পরিচয় গ্রহণ করিয়া দেখিবে যদি আমার বাক্যের সহিত ঐক্য বলিয়৷ হৃদ্বোধ হয় তাহা হইলে আমার পরিচয় প্রদান করিবে । নচেৎ কিছুই ব্যক্ত করিবে না। গোপকামিনীগণ দুগ্ধ বিক্রয়চ্ছলে সৰ্ব্বত্র গতিবিধি করিতে পারে, তাহদের নিকট রাজভবন কি দুঃখীভবন বলিয়৷কিছুই বিশেষ থাকে না। বসন্তের পরামর্শানুসারে এই গোয়ালিনী সেই রাজনন্দিনীর ভবনে প্রতিদিন যাতায়াত আরম্ভ করিল। দুই চারি দিবস যাওয়া আসা হওয়াতে এক রকম জানা শুনাও হইল, ব্যবসায়ী রমণীগণ প্রায়ই সুচতুরা হইয়া থাকে; গোপকামিনী একদিন সময় বুঝিয়। কৌশলক্রমে নৃপছহিতার পরিচয় গ্রহণ করিয়া এবং