পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সুলোচনা কাব্য।

সুকুমারমতি শিশু জননীর বিয়োগে একেবারে বিকলান্তঃকরণ হইয়া অনবরত রোদন করিতেছিল, এক্ষণে ঐ প্রসূতিকে প্রাপ্ত হইয়া স্বীয় গর্ভধারিণীর বিয়োগদুঃখ দিন দিন বিস্মৃত হইয়া তাহাকে নিজ জননীর ন্যায় জ্ঞান করিতে লাগিলেন। ফলতঃ কুমারের সেই বিকাশোন্মুখ কমলকলি সদৃশ মুখারবিন্দ, জননীর জীবননাশসন্তাপে আকুঞ্চিত হইয়াছিল, এক্ষণে সুধাংশুর অংশুসম প্রসূত্যন্তর প্রাপ্তিতে তদীয় স্তন্যরূপ সুধাবর্ষণে তাহার সজীবতা ও প্রফুল্লতা সম্পাদন করিল। যখন দেখিলেন নবকুমারের বয়োবৃদ্ধির সহিত শরীরও বদ্ধিত হইতে লাগিল, তখন মহারাজ ঐ বিষয়ে এক প্রকার নিরুদ্বেগ হইলেন। কিন্তু কেমন বিধাতার বিড়ম্বনা তথাপি সুস্থচিত্ত হইতে পারিলেন না। নরপতির মনে মহিষীশোক পুনর্ব্বার নবভাবে আবির্ভূত হওয়াতে সর্ব্বদা জ্বলিতাঙ্গ হইয়া অন্যের গতি প্রতিরোধপূর্ব্বক নির্জনপ্রদেশে বিষণ্ণমনে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন।

 এদিকে নবকুমারের অন্নপ্রাশনের কাল উপস্থিত দেখিয়া পুরোহিতগণ সমবেত হইয়া ভূপতিসন্নিধানে উপনীত হইলেন। বীরজিৎসিংহ পুরোহিতবর্গের একত্রে