পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
সুলোচনা কাব্য।

না করে, তবে তখনকার উপায় কি? হয় ত মহারাজ শ্বেতের হস্তে রাজলক্ষ্মী সমর্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া বসিবেন। সে সময়ে যদি শ্বেত সপত্নীপুত্ত্রবৎ বিদ্বেষপূর্ণনেত্রে সর্ব্বদা আমায় নিরীক্ষণ করে, তাহা হইলে তখন ত আর কোন প্রকার উপায় উদ্ভাবন করিবার সম্ভাবনা থাকিবে না। কিন্তু আবার ইহাও মনে হইতেছে, যদি স্বীয় গর্ভজাত সন্তান স্ববশে না থাকে এবং স্বকীয় জননীর ন্যায় ভক্তি, শ্রদ্ধা কিম্বা আন্তরিক যত্ন না করে, তবে তাহার ত উপায়ান্তর নাই; অতএব সেরূপ স্থলে স্বপুত্ত্র ও সপত্নী পুত্ত্র উভয়ই তুল্য; ফলতঃ আপনাপন ব্যবহার দোষেতেই লোকে পতি কি পুত্ত্রের অশ্রদ্ধেয় হয়। নতুবা সাধু ব্যবহার কিম্বা সদাচরণ দ্বারা কখন কাহার বিরাগভাজন হইতে হয় না। বিশেষতঃ শ্বেত ও বসন্ত শৈশবাবস্থায় মাতৃহীন হইয়াছে, উহাদিগের মনে আমার প্রতি বৈমাত্রেয় ভাব উদয় হইবার সম্ভাবনা নাই। তবে যদি কেহ কুমন্ত্রণা দিয়া বিরাগোৎপাদন করিয়া দেয়, সে স্বতন্ত্র কথা। এইরূপ নানাবিষয়ের আন্দোলন করিয়া, তিনি মনে মনে সংশয়ারূঢ় হইলেন। পরে রেবতীর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া কর্ত্তব্য নিদ্ধারণ করা