পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
৪১

তাহা হইলে আমি তদ্দ্বারা ভাবী উৎপাতের নিঃশেষ করিয়া ফেলি। তরঙ্গিনী, রাজমহিষীর বাক্য শ্রবণে চকিত ও বিস্মিত হইয়া কহিল ঠাকুরাণি, তুমি এবম্বিধ দুঃসাহসিক দস্যুবৎ ব্যবহারে প্রবৃত্ত কখনই হইবে না। এইরূপ কার্য্য ঘটিলে আমাদের কাহারও পক্ষে ভদ্রস্থতা নাই। মহারাজ, নিশ্চয়ই এই দুরভিসন্ধির অন্তস্তত্ব জানিতে পারিবেন, তাহা হইলে হয় ত আমাদের জীবনদণ্ডরূপ প্রায়শ্চিত্ত বিধান করিয়া ক্ষান্ত হইবেন। অতএব আমার কথা শুনুন্‌, এরূপ দুরূহ ব্যাপারে কোন রূপেই প্রবৃত্ত হইবেন না; এ পরামর্শ সৎপরামর্শ নহে; ইহাতে অযশ, অপমান, কলঙ্ক না হয় ত জীবনদণ্ড পর্য্যন্ত পরিণামফল হইতে পারে। রামায়ণে শুনিয়াছ ত? রাজা রামচন্দ্র, একজন সামান্য রজকের মুখে জানকীর অযশঃ শুনিয়া, একান্ত বিকলান্তঃকরণ হইয়া প্রাণাপেক্ষা প্রিয়তমা সীতাকে নির্ব্বাসন দণ্ড দিয়াছিলেন; আমার বিবেচনায় রামচন্দ্রের অপেক্ষা স্ত্রীতে মমতা মহারাজের অধিক নহে। তুমি যদি নিতান্ত অধৈর্য্য হইয়া থাক, তবে রেবতীর সহিত মন্ত্রণা ও যুক্তি করিয়া যাহা সৎ বলিয়া স্থিরীকৃত হয়, সেই পথ অবলম্বন