পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
৪৩

ভাগাদিগের জন্যে মনটা এক একবার কান্দিয়া উঠে। তোমরা প্রথমে যখন এই কথার প্রস্তাব কর, তখন তোমাদিগকেও শত্রুজ্ঞান করিয়াছিলাম; বলিতে কি, এতদূর পর্য্যন্ত মনে উদয় হইয়াছিল যে, মহারাজের নিকট সমুদায় বৃত্তান্ত বর্ণন করিয়া তোমাদিগকে বিলক্ষণ প্রতিফল প্রদানপূর্ব্বক পুরী হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিব। কারণ সে সময়ে আমার মনে এতদূর বিশ্বাস ছিল যে, শ্বেতও বসন্তকৃত ভবিষ্যতে অনিষ্ট হইবার কথাও প্রাণে সহ্য হইত না। এখন আমার চৈতন্য হইয়াছে, দেখিলাম বিপৎপাতসময়ে তোমরাই আমার সহায়, এই আপতিত বিপজ্জাল হইতে কেবল তোমরাই আমাকে মুক্ত করিলে, তোমাদের তুল্য হিতৈষিণী আমার আর জগতে কে আছে? যখন এই অলক্ষিত বিপৎপাত তোমাদিগের কর্ত্তৃক লক্ষিত হইয়াছে, তখন তোমরাই ইহার প্রতিবিধানের উপায় করিয়া দিবে। তবে আর বিলম্ব কর না, রেবতীকে বলিয়া যাহাতে শীঘ্র শত্রুহস্ত হইতে পরিত্রাণ হয় তাহার উপায় স্থির কর।

 সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় যে, বন্ধ্যানারীগণ প্রায়ই এক একটি মার্জ্জার প্রতিপালন করিয়া, অপত্যা-