পাতা:সুশীলাচন্দ্রকেতু.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैं ३ সুশীশচন্দ্রকেতু । করিয়ু দূর হইতে একটা নগরের মত দেখিতে পাইলেন, সেই নগরাভিমুখে গমন করিতে করিতে তিনি পথিমধ্যে এক জন পথিককে জিজ্ঞাসা করিলেন, ভদ্র ! এখান হইতে স্বরাষ্ট্র নগর কত দূর হইবে ? সে ব্যক্তি উত্তর করিল স্বরাষ্ট্র নগর এখান হুইতে অধিক দূর নহে, চারি ক্রোশের অধিক হইবে না, ঐ যে গ্রামটা দেখিতে পাইতেছ উস্থার ডাইনদিক দিয়া বরাবর এই রাস্তা ধরিয়া চলিয়া যাও, বেলা দেড় প্রহরের মধ্যেই সুরাষ্ট্রে 'পেছিতে পারিবে। নৃপবাল আস্তে আস্তে চলিয়। প্রায় তিন ক্রোশ পথ অতিক্রম করিলেম । এদিকে বেল প্রায় দুই প্রহর হইয়া উঠিল । রাজনন্দিনী অণর চলিতে পারেন না, একে গ্রীষ্মকাল তাহাতে মধ্যাঙ্কু সময় । উষ্ণরশ্মি কিরণচ্ছলে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ বর্ষণ করিতেছেন। পথে অপর পা দে ওয়া যায় ন। বালুকারাশি প্রখর বায়ুবেগে উথিত হইয়া পথিকগণকে দগ্ধ করিতেছে । কোন দিকে জলবিহু নিরীক্ষিত হয় না, কেবল মৃগতৃষ্ণিকা-ভ্রাস্ত পান্থ বর্গ ক্ষণে ক্ষণে প্রতারিত হইতেছে। গাভিকুল শুষ্ককণ্ঠে বিরল পাদপছায়ায় শয়ান হইয় দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিতেছে , রাখালগণ গ্রীষ্মে নিতান্ত ক্লান্ত হইয় গাভিগণের ক্রোড়েই বৎসের সহিত শয়ন করিয়া আছে। ফণী ফণতলে নিষগ্ন ভেকের হিংসা করিতেছে না । মৃগগণ পিপাসায় কাতর হইয়া তিগাrংশুর