পাতা:সেঁজুতি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সেঁজুতি

সৃষ্টি যখন আছিল নবীন
নবীনতা নিয়ে এলে।
ছেলেমানুষির স্রোতে নিশিদিন
চলো অকারণ খেলে।
লীলাছলে তুমি চির পথহারা,
বন্ধনহীন নৃত্যের ধারা,
তোমার কূলেতে সীমা দিয়ে কা’রা
বাঁধন গড়িছে মিছে।
আবাঁধা ছন্দে হেসে যাও সরি’
পাথরের মুঠি শিথিলিত করি’,
বাঁধা ছন্দের নগরনগরী
ধুলায় মিলায় পিছে॥



অচঞ্চলের অমৃত বরিষে
চঞ্চলতার নাচে।
বিশ্বলীলা তো দেখি কেবলি সে
নেই নেই ক’রে আছে।
ভিত ফেঁদে যারা তুলিছে দেয়াল
তা’রা বিধাতার মানে না খেয়াল,
তা’রা বুঝিল না,—অনন্তকাল
অচির কালেরই মেলা।

১৯