পাতা:সেঁজুতি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সেঁজুতি
নতুন কাল


কোন্ সে কালের কণ্ঠ হতে এসেছে এই স্বর-
“এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা মধ্যিখানে চর।”

অনেক বাণীর বদল হোলো, অনেক বাণী চুপ,
নতুন কালের নটরাজা নিল নতুন রূপ।
তখন যে সব ছেলেমেয়ে শুনেছে এই ছড়া,
তা’রা ছিল আরেক ছাঁদে গড়া।
প্রদীপ তারা ভাসিয়ে দিত পূজা আনত তীরে,
কী জানি কোন্ চোখে দেখত মকবাহিনীরে।
তখন ছিল নিত্য অনিশ্চয়,
ইহকালের পরকালের হাজার রকম ভয়।
জাগত রাজার দারুণ খেয়াল, বর্গি নামত দেশে,
ভাগ্যে লাগত ভূমিকম্প হঠাৎ এক নিমেষে।
ঘরের থেকে খিড়কি ঘাটে চলতে হোত ডর,
লুকিয়ে কোথায় রাজদস্যুর চর।
আঙিনাতে শুনত পালাগান,
বিনা দোষে দেবীর কোপে সাধুর অসম্মান।

৩৪