শোরপুরে ইয়ার মহম্মদ নামে ধনীর বাড়ি লুঠ, ১৮৩১ সালের ১৪ অক্টোবর খাসপুর, রামচন্দ্রপুর এলাকায় ধনী মুসলিম জোতদারদের বাড়িতে রাজনৈতিক ডাকাতিগুলি তাঁর অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিচয় দেয়। তাঁর আক্রমণে বারাসাত অঞ্চলের বহু তালুকদার, মহাজন, ধনী মুসলমানরা ইতস্তত পলায়ন করে। পরে বিদ্রোহ দমিত হলে যে ফৌজদারী মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে হিন্দু জমিদারদের সাথে মুসলিম জোতদার, মহাজনেরা সামিল হয়। উল্লেখযোগ্য যে, দাড়ির ওপর কর বসানো নিয়ে গ্রামীণ কবিয়ালরা গান রচনা করেন যেথায় তিতুমীরের কথা বারবার এসেছে, কখনো সমর্থনে, কখনো বিরোধীতায়।
“নামাজ পড়ে দিবারাতি
কি তোমার করিল খেতি
কেনে কল্লে দাড়ির জরিমানা। ”
আবার নাপিত এ ঘটনায় তার মজুরী অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় তখন-
“জোলানী উঠিয়া চলে উঠরে জোলা কাট।
হাজাম বাড়ি গিয়া শীঘ্র গোঁপদাড়ি কাট॥
তিতুমীরের গলা ধরি নাসিরদ্দি কয়...” ইত্যাদি।
বিরোধীতায় গান যেমন পাওয়া যায়—
“নারিকেলবেড়ের তিতুমীর বুজরুগি করিল
যতসব মিঞা মোল্লা
বনায়ে বাঁশের কেল্লা
ফিরিঙ্গী বাদসার সাথে লড়াই জুড়িল।”
শুধুমাত্র তাই নয়, আরবী নাম রাখার জন্য কর, মসজিদ নির্মাণে অতিরিক্ত কর এমনকি মসজিদে অগ্নিসংযোগের মতো ঘৃণ্য চক্রান্তে কৃষ্ণদেব যুক্ত হলে তিতু প্রতিশোধার্থে পুঁড়া গ্রাম আক্রমণ করেন ১৮৩০ সালের ৬ই নভেম্বর, ও তাঁর সাথীরা একটি গরু হত্যা করে। এই গোহত্যা ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের আঘাত করেছিল। তিতু কর্তৃক অত্যাচারী জমিদার দেবনাথ রায়
২৯