পাতা:সেই সব শহীদেরা - পিনাকী বিশ্বাস (২০২২).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রাসমণি থেকে অনুরাধা সংগ্রাম সতত প্রবহমান

১৯৪৬ সালের ৩১শে জানুয়ারী কিংবা ২০০৮ এর ১২ই এপ্রিল। মাঝখানে অনেকটা সময়, আপাতদৃষ্টিতে তারিখ দুটিতে কোনো মিলই নেই। প্রথম দিনটিতে শহীদ হয়েছিলেন হাজং বিদ্রোহের দুর্ধর্ষ নেত্রী আর দ্বিতীয়টিতে অন্তরীণ অবস্থায় দুরারোগ্য ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান অনুরাধা গান্ধী। সাদা চোখে দেখলে এই দুই নারীর মধ্যে মিলের চাইতে অমিলই বেশি। কৃষকনেত্রী রাসমণি মারা যান রণাঙ্গনে। শত্রুর বুলেট বিদীর্ণ করেছিল তাঁর শরীর। অনুরাধা সেই অর্থে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ না করলেও আজীবন বিপ্লবী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার দরুণ সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে প্রায় চিকিৎসাহীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুকে অনায়াসেই শহীদের আত্মত্যাগের সমপর্যায়ে ফেলা যায়। অনুরাধা ছিলেন উচ্চশিক্ষিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারিণী, মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আলোকপ্রাপ্তা বিপ্লবী নারী। অপরজন স্বল্প শিক্ষিতা গ্রাম্য রমণী হয়েও মার্কসবাদ-লেনিনবাদের সফল প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন বাস্তব জীবনে। মাও এর চিন্তাকে প্রতিষ্ঠা দেন গেরিলা যুদ্ধের ময়দানে। একজন লড়েছিলেন বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে তো

৩২