পাতা:সেই সব শহীদেরা - পিনাকী বিশ্বাস (২০২২).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পুলিশের গুলির মুখে সেদিনটিও নিশ্চিত নারী দিবস। চন্দনপিঁড়ির অহল্যা, সরোজিনী, উত্তমী যেদিন শহীদ হন বা কলকাতার রাজপথে লুটিয়ে পড়েন লতিকা, অমিয়া, প্রতিভারা সেটিও কি একটি নারী দিবস নয়? প্রীতিলতার পথ ধরেই উঠে এসেছিলেন তেলেঙ্গানার শহীদ লাছাক্কা বা নির্মলা কৃষ্ণমূর্তি। ভারতের বৈপ্লবিক ঐতিহ্যই তাঁদের পথ করে দিয়েছিল। তাঁদের বারংবার আবির্ভাব প্রতিষ্ঠা করে একটি সহজ সত্যের যেটা মার্কস ১৮৬৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর লুডাভিগ কুলেগম্যানকে এক চিঠিতে জানিয়ে গেছিলেন।

 “যারাই ইতিহাসের কিছু জানেন, তারা এও জানেন যে মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া বিশাল কোন সামাজিক বিপ্লব সম্ভব নয়।” তাই অনুরাধা আর রাসমণি একই বিপ্লবী সত্ত্বার অংশ বিশেষ, শুধু আবির্ভাব ঘটেছে ভিন্ন সময়ে। না, কোনো জন্মান্তরবাদের অযৌক্তিক গল্প নয়। যতদিন নারীর প্রতি কুৎসিত হিংসা, সামন্ততান্ত্রিক অনাচার বলবৎ থাকবে, থাকবে রাষ্ট্র ও শাসকের চোখরাঙানী, ঝরবে মানুষের চোখের জল ততদিন ঘাসে বারুদের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে মাতৃজঠর থেকে ভূমিষ্ঠ হবেন রাসমণি-অনুরাধারা। ইতিহাসের নিয়মেই।

মানবী এখন, মার্চ, ২০১১

৩৯