পাতা:সেই সব শহীদেরা - পিনাকী বিশ্বাস (২০২২).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চাননি। বলেছিলেন “বোধিরকে শোনাতে উচ্চ কণ্ঠের প্রয়োজন, একথা ভেবেই আমি বিধানসভায় বোমা ছুঁড়েছি, আমার উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। ঘুমন্ত শাসক-শোষকবর্গের আসন্ন রক্তক্ষয়ী বিপ্লব সম্পর্কে হুঁশিয়ারী।” ৩রা ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৪ ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর শেষ শ্লোগান ছিল ‘Death to the bourgeoisie, long live anarchism.’

 ১৯২৯-এর ৪ই এপ্রিল বটুকেশ্বরকে সঙ্গে নিয়ে ভগৎ সিং যখন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটচ্ছেন এবং কিছুকাল পরেই তাঁকে অক্ষয় দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী, নৈরাজ্যবাদী নামে, তরুণ বিপ্লবী কী অসামান্য যুক্তিতে সে সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করেছেন সেই আলোচনার প্রবেশের আগে সংক্ষেপে দেখে নিতে হবে তৎকালীন ভারতবর্ষের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে। শুরুটা ১৮৭৯ সালে। সর্বপ্রথম বাসুদেব বলবন্ত ফাদকের সশস্ত্র দল গড়ে বিদ্রোহ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল ঠিকই কিন্তু বপন করে দিল বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের বীজ। বাংলায় মাথা চাড়া দিয়েছে সশস্ত্র আন্দোলন। ১৯০৮ সালে উল্লাসকর, বারীন্দ্রকুমারের তৈরী বোমায় কিংসফোর্ডকে মারতে ব্যর্থ ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকী শহীদ হয়েছিলেন। এ ঘটনাকে লক্ষ্য করে তিলক কেশরী পত্রিকায় লিখেছেন-

 The military strength of no govt. is destroyed by bombs, the bombs has not the power of crippling the power of an army, nor does the bomb possess the strength to change the current of military but owing to the bomb the attention of govt. is attracted towards the disorder which prevail owing to the pride of military strength. [Keshri-22 June, 1908]

 এই দৃষ্টি আকর্ষণের কথা ভগৎ সিং-এর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হবে ভবিষ্যতে, অ্যাসেম্বলিতে বোমা ফেলার পর। সন ১৯১২, ডিসেম্বর মাসে রাসবিহারীর শিষ্য নদীয়ার এক অখ্যাত গ্রামের কিশোর বসন্ত মোক্ষম বমটি মারলেন দিল্লির রাজপথে, টার্গেট বড়লাট হার্ডিংস। কোনো মতে লাটসাহেব

৪২