ও পুঁজিবাদের বিনাশের পক্ষে তাঁর কণ্ঠে সোচ্চার হচ্ছে। আসলে সেই সময় মার্কসবাদী বই, পত্রপত্রিকা ছিল অপ্রতুল, তাই অধ্যায়নের যথেষ্ট সুযোগ এবং স্বল্প জীবনকালে পুঙ্খানুপুঙ্খ তত্ত্ব বিচারের সময় (বড়ো হরফ আমার) তিনি পাননি একথা জানায় পরেও তাঁকে মার্ক্সবাদী বলতে কারো যদি আপত্তি থাকে তাহলে বলা উচিত, মার্ক্সবাদ বইতে আবদ্ধ কয়েকটি বাক্যাংশ নয়, এটি একটি বস্তুবাদী দর্শন, সুনির্দিষ্ট প্রয়োগেই যার বিকাশ ঘটে। তত্ত্বের অধ্যায়ণ ভুল হয় না, ভুল বা ত্রুটি যা কিছু ঘটে প্রয়োগ কালে। সর্বোপরি একথাই বলা যে ভগৎ সিং জীবনযাপন করেছিলেন, লড়েছিলেন এবং মানুষকে ভালবেসেছিলেন একজন আদর্শ মার্ক্সবাদীর মতো, তার বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণের আলোকে ভারতীয় সমাজকে সবরকম শোষণের জোয়াল থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। হাস্যকর মনে হচ্ছে, কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির তথাকথিত সভ্যপদ না থাকায় তাঁকে এই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে ভগৎ সিং হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি।
শৈলেশ দে’র লেখনী থেকে তুলে ধরছি- ‘ভগৎ সিং কোনো মার্ক্সবাদী দলের সদস্য ছিলেন না একথা সত্য, সে সুযোগও ছিল না কারণ তখন মার্ক্সবাদ এতটা প্রসার লাভ করেনি আমাদের দেশে। দলীয় সদস্য না হয়েও মার্ক্সবাদকে আদর্শ হিসাবে গ্রহন করেছিলেন এটাই কি তাঁর একমাত্র আপরাধ?’১১
আসলে বিপ্লবী যোগেশ চ্যাটার্জীর লেখা থেকে জানা যায় দেউলি বন্দীনিবাসে কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা ভগৎ সিং ও আজাদ দিবস পালন করতে চাননি, কারণ এটা নাকি তাদের নীতিবিরুদ্ধ কাজ এই যুক্তিতে! এ প্রসঙ্গেই লেখক উপরোক্ত কথাগুলি লিখেছেন, সেই সঙ্গে একখানি অসাধারণ প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন গ্রন্থাকার “পরবর্তীকালে ক’জন মার্ক্সবাদী মার্ক্সবাদকে এতখানি ভালবাসতে পেরেছিলেন ভগৎ সিং-এর মতো??” [ওরা আকাশে জাগতো ঝড়, পৃষ্ঠা ১৭২]
ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্রের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য, “তিনি কেবল