ভারতের অন্যতম মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী সমাজতন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রথম যুগের অন্যতম মার্ক্সবাদী চিন্তাবিদ ও তাত্ত্বিক। দুঃখের বিষয় ভগৎ সিং সম্পর্কে শেষের এই গুণাবলী কথা তুলনামূলক ভাবে অজানাই রয়ে গেছে।”১২
রণদিভে যাই বলুন না কেন বিপান চন্দ্র দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাচ্ছেন ১৯২৭-১৯২৮ সাল থেকে তিনি বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদ ত্যাগ করে মার্ক্সবাদী চিন্তার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন এবং ১৯২৫ থেকে ১৯২৮ অবধি তিনি পড়াশোনা করেছেন অবিশ্বাস্য পুস্তক ক্ষুধায়।
গান্ধীজী এই মহান বিপ্লবী ও তাঁর সাথীদের কার্যকলাপকে নিছক গুন্ডামি ছাড়া আর কিছু ভাবেননি। শত্রুর দুঃখেও যারা প্রাণ কাঁদতো তিনি এঁদের প্রাণ কাঁদতো তিনি এঁদের প্রাণ রক্ষার্থে বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেননি। কারণ তাঁর ভাষায়- “The Bhagat Singh worship has done and is doing incalculable harm to the country....The deed itself (the Act of Bhagat Singh) is being worshipped as if it is worthy of emulation. The result is goondaism and degradation wherever this mad worship is performed.”১৩ [হত্যার রাজনীতি নিয়ে Young India পত্রিকায় প্রকাশিত মতামত, The Cult of the Bomb, 2nd January, 1931]
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন! যতীন দাসের মহত্তম আত্মদানকে যিনি Diabolical suicide বলতে পারেন, তার পক্ষে এ জাতীয় ভাবনা অসম্ভব নয়।
এবার সন্ত্রাসবাদ এবং HSRA-কে নিয়ে তৎকালীন কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দ মধ্য যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল, তার দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি জেলার অভ্যন্তরে ‘হিংসা অহিংসার প্রশ্নে’ একটি লেখা লেখেন ভগত সিং। যেখানে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে কিছু কথা বলা আছে।
“সন্ত্রাসবাদ শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চার করার মধ্যে দিয়ে নিপীড়িত