গণসংগঠন ইত্যাদি ধৈর্যশীল কর্মসূচীর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে বলা আছে, কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই যাকে সন্ত্রাসবাদীর দর্শন বলা যাচ্ছে না। বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মহারাজও এ কথার সমর্থন করেছেন।
“ভগৎ সিং ইহা জানিত এই বোমা নিক্ষেপ দ্বারা কতিপয় সাহেব খুন দ্বারা দেশের স্বাধীনতা আসিবে না, ভগৎ সিং বিশ্বাস করিত ইহা দ্বারা দেশ আগাইয়া যাইবে। দেশের যুবকদিগের মধ্যে আসিবে নবজাগরণ।“২১ [জেলে ত্রিশবছর ও ভারতপাক স্বাধীনতা সংগ্রাম]
বাস্তবিক সেই বোমা ফেটে ধামাকারই শুধু সৃষ্টি করেনি। নিস্তরঙ্গ পুকুরে ঢেউ তোলার মতো দেশের জনসাধারণ নিজের রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে থাকে। সর্বস্তরে ধ্বনিত হয় প্রতিবাদ। এই মহান বিপ্লবীর জীবনীকার জিতেন্দ্রনাথ সান্যাল (বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথের ভাই) সঠিকভাবেই লিখেছেন- “Sardar Bhagat Singh, I know was neither a terrorist nor an anarchist, therefore to discharge my duty towards my late friend; I thought of presenting his true and historical picture. In this I wanted to show that he was a communist and a internationalist and that people had misunderstood him.”
গবেষক ও রাজ্যপুলিশের মহানির্দেশক অমিয়কুমার সামন্ত হিংসার প্রশ্নে গান্ধিজীর সমালোচনা ভগৎ সিংয়ের যুক্তিগুলিকে ভারহীন ও চটকদারী কথা বলে উল্লেখ করছেন।২২ ‘ভগৎ সিং ও স্বাধীনতাপূর্ব সন্ত্রাসবাদের বিবর্তন' শীর্ষক প্রবন্ধে কমরেড সিং-এর বিপ্লবের ধারণার সমালোচনা করে লিখেছেন “The Philosophy of Bomb” প্রবন্ধে বিপ্লবের কথা অনেকবার আসেছে কিন্তু বিপ্লবের স্বরূপ বা পদ্ধতি সম্পর্কে যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্য খুব কম আছে।” তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে, বিপ্লবের তাত্ত্বিক ও সাংগঠনিক কোনো রূপই ভগৎ সিং বা সহকর্মীদের রচনায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেনি।২৩
প্রায় একশো বছরে পরে স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে