রাখলেন জীবন। স্থানীয় মানুষ ভালোবেসে তার নাম দেয় ডাঃ খো, তাদের সুখ দুঃখের সাথী।
একদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আক্রমণ, খাদ্যভাব, ওষুধের অপ্রতুলতা। অপরদিকে জনগণের সর্বাত্মক প্রতিরোধ আর অফুরন্ত ভালোবাসা। মুগ্ধ হয়ে গেলেন ডাঃ কোটনিস। ডাঃ বেথুন নির্দেশিত পথেই ভ্রাম্যমান হাসপাতাল গড়ে ফ্রন্টের সঙ্গে কাজ করতে থাকেন তিনি। অবিশ্বাস্য মনে হবে, কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় ৮০০ আহত সৈন্যের চিকিৎসা করতে সক্ষম হন তিনি। অমানুষিক পরিশ্রম ও সঠিক ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়তে থাকে শরীর। ১৯৪১ সালের জুলাই মাসে মৃগীরোগে আক্রান্ত হন। যদিও বিশ্রাম শব্দটি তার অভিধানে ছিল না। যখনই জাপানি আক্রমন তীব্র হয়েছে, প্রতিরোধ হয়েছে তীব্রতর, হাসপাতাল সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় জঙ্গলের গভীরে, পাহাড়ের গুহায়। সঙ্গে চলে চলমান স্কুল। পথ চলতে চলতে শেখে ছাত্রেরা। এরই মধ্যে কোটনিস শেষ করেছেন General Introduction to Surgery, হাত দিয়েছেন Surgery in detail লেখার কাজে। সবই চীনা ভাষায়! মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে জানাচ্ছেন ‘আমি যদি মরেও যাই তবু আমার দেশের মানুষ এই জেনে খুশি হবেন যে আমি ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্যই প্ৰাণ দিয়েছি' এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৪২-এর ৯ ডিসেম্বর প্রায় সেবারত অবস্থাতেই সহযোদ্ধাদের ছেড়ে চলে গেলেন সর্বস্বত্যাগী এই ডাক্তার। বয়স তার তখন মাত্ৰ বত্রিশ।
চীন-ভারত দু-দেশই তাঁকে নিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে। লেখা হয়েছে বই। হয়েছে চলচ্চিত্রও। তাঁর জীবনীকার শেন সিয়ান কুং সঠিক ভাবেই কোটনিসকে ‘চীনে এক ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী' বলে চিহ্নিত করেছেন। স্মৃতিচারণে মাদাম সান ইয়াৎ সেন বলেছেন ‘বর্তমানের চাইতে ভবিষ্যত ডাঃ কোটনিসের জন্য বেশি সম্মান অপেক্ষা করছে কারণ এই ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্যই ছিল তাঁর লড়াই। ‘আর কি বলেছিলেন অষ্টম রুট