পাশাপাশি চলতে থাকে কবিতা লেখা, যেগুলি দেশের তরুন সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর তিনি গুয়াতেমালা ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন, ততদিনে তাঁর কবিতা সমীহ আদায় করে নিয়েছে সে দেশের নামকরা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের। ১৯৫৪ সালে চক্রান্ত করে প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে আরবেনজ সরকারের পতন ঘটায় CIA, গণতন্ত্রের ওপর নেমে আসে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট আক্রমন। অনেকের সঙ্গে স্বদেশচ্যুত অতো আশ্রয় নেন এলসালভাদোরে। এসময় তাঁকে অসম্ভব পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে। শ্রমিক, সেলসম্যান, ক্লার্ক ইত্যাদি সব রকম পেশাতেই যুক্ত থেকেছেন। এতো কষ্টের মধ্যেও ছাড়েননি কবিতা লেখা আর অধ্যয়ন। লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমাটোগ্রাফ নিয়ে পড়েছেন, কিন্তু তাঁর আসল প্রেম ছিল কবিতা। জীবন ছিল ভ্রাম্যমান, পুরষ্কারও জুটেছে প্রচুর তাই বলে বিষদাঁতহীন বুদ্ধিজীবী হয়ে আরামে জীবন কাটিয়ে দেননি অতো রেনে কাস্তাইয়ো উল্টে তাঁর কবিতা আঙুল তুলেছে সেইসব মেরুদণ্ডহীনদের প্রতি-
'What did you do, when the poor
suffered, when tenderness and life
burned out of them ?
apolitical intellectuals
of my sweet country, you will not be
able to answer'
তাঁর কবিতা প্রভাবিত করেছিল পাবলো নেরুদাকেও। পরবর্তীতে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁর কবিতা প্রেরণা হয়েছে সেই সমস্ত দেশের লড়াকু মানুষদের। আকুণ্ঠ চিত্তে সমর্থন জানিয়েছেন সমগ্র পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামকে। রাজনৈতিক ঘাত প্রতিঘাত, সামরিক শাসন, বিক্ষোভ-বিদ্রোহে উত্তাল গুয়াতেমালার স্বাধীনতা যুদ্ধ আর অন্য পরাধীন দেশের মুক্তিসংগ্রাম তাঁর কাছে আলাদা মনে হয়নি। অবস্থা কিছুটা প্রশমিত হলে স্বদেশে ফিরে অতো যোগ দেন রাজনৈতিক-সংস্কৃতিক