আন্দোলনে। সান কার্লোস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়াও সম্পন্ন করে ফেলেন একটা সময়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়ে ওঠে স্টাডি সার্কেল। প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতার বইগুলি। ১৯৫৯ এ স্কলারশিপ পেয়ে এল সালভাদোর যাত্রা। কারারুদ্ধ হয়েছেন ৬৪ সালে। মুক্তি পেয়ে আবার অজানার খোঁজে পাড়ি, কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না। যেখানেই যান একটি দিনের জন্যেও ভুলতে পারেননি তিনি প্রিয় মাতৃভূমি গুয়াতেমালাকে। ফ্যাসিস্ট শাসনে বিপর্যস্ত সেই দেশে তখন গোপনে গড়ে উঠছে বিপ্লবী সংগঠন। জনগণের একটি অংশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছে প্রতিরোধী যুক্তফ্রন্ট তৈরির কাজে। এমনই এক সন্ধিক্ষণে ১৯৬৬ সালে গোপনে স্বদেশে ফেরত আসেন অতো রেনে কাস্তাইয়ো। না, সে সময় তিনি আর শুধু সাধারণ কবি নন, শাসকের রক্তে কাঁপন-ধরানো পুরোদস্তুর মুক্তিযোদ্ধা! নাম লিখিয়েছেন গেরিলা বাহিনী ‘রিবেল আর্মড ফোর্সে'। জানা যায় জাকাপা পর্বত্য অঞ্চলে তাঁর পরিচালনায় কয়েকটি সফল অভিযান করে এই বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৯ সালের ১৯ মার্চ তিনি সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ধরা পড়লেন সেনাবাহিনীর হাতে। কয়েকদিন বন্দী অবস্থায় অমানুষিক অত্যাচারের পর অতো ও তাঁর কমরেডদের জাকাপা বন্দীশালাতেই জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
কী আশ্চর্য! সেই দিনটিও ছিল ২৩ মার্চ! ৩৬ বছর আগের এমনই একদিনে ভারতের বিপ্লবী সংগ্রামের অবিসংবাদিত নায়ক সর্দার ভগৎ সিং-কে কারাবিধি লঙ্ঘন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং গোপনে তাঁর ও তাঁর সাথীদের দেহগুলিকে পুড়িয়ে লোপাট করার ব্যবস্থা করে সাম্রাজ্যবাদী সরকার। ইতিহাস বোধহয় শহীদের জীবনীতেই সব থেকে বেশি পুনরাবৃত্ত হয়।
কবি এবং যোদ্ধা, দুই ভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। সমাজে তাঁদের অবস্থানও দুই বিপরীত মেরুতে। এঁদের মধ্যে মিলের চাইতে অমিলই বেশি। কিন্তু একবার যদি এই দুই বিপরীতমুখী সত্তা একদেহে লীন হয়ে যায় তবে তা শাসক ও শোষকশ্রেণীর কাছে মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই