সুবিধাও তিনি প্রত্যাখান করেছিলেন এই বলে যে “If I have to take police protection in my own country from my own people, then there is something wrong with me, I am fighting within the framework of The Indian Constitution and it is not against anyone but for everyone."
বিজ্ঞান আন্দোলনের পাশাপাশি সামাজিক এবং অন্যান্য প্রগতিশীল কর্মযজ্ঞের প্রথম সারির সৈনিক তিনি। মহারাষ্ট্রের বুকে প্রায় কয়েক হাজার কুসংস্কার বিরোধী অনুষ্ঠান, জনসভা, সেমিনার করে তথাকথিত গডম্যানদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। জ্যোতিষী ও ভবিষ্যত বক্তারা বারবার তাঁর চ্যালেঞ্জের কাছে পর্যদুস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে দাভলকরের সাথী ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী জয়ন্তুবিষ্ণু নারলিকার। দলিতদের অধিকারের দাবী ও অস্পৃশ্যতা-জাতপাত বিরোধী সংগ্রামের শরিক হিসেবে মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে পরিবর্তিত করার উদ্যোগে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রচুর বই লিখেছেন, সাতারা জেলার প্রান্তিক পিছড়েবর্গের মানুষদের অধিকার সচেতনতায় লড়াকু সংগঠন ‘পরিবর্তন’ তারই হাতে তৈরী। ভারতীয় যুক্তিবাদী সংগঠনের সহ- সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সম্পাদনা করেছেন প্রখ্যাত গান্ধিবাদী সানে গুরুজীর প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সাধনা'।
ডাঃ দাভলকরের সাহসী কণ্ঠ শোনা গিয়েছিল ক্ষমতাশালী ধর্মগুরু আশারাম বাপুর (বর্তমান যৌন কেলেঙ্কারী ও ধর্ষিতার সম্পর্কে ন্যক্কারজনক মন্তব্যে কুখ্যাত!) অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। ২০১৩-এর মার্চে নাগপুরে হোলি খেলার নামে এই ভণ্ড সাধু পৌরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে স্ফূর্তি শুরু করে। প্রায় ৫০ হাজার লিটার পানীয় জল নষ্ট হয়! দাভলকর এবং তাঁর সাথীরা প্রথম প্রতিবাদ জানান এই ঘটনায়, পৌরসভা বাধ্য হয় ব্যবস্থা নিতে। এ থেকে বোঝাই যায় যে তাঁর শত্রুসংখ্যা নেহাৎ কম ছিল না। সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে যেসব ধর্মীয় মাফিয়াদের সন্তুষ্ট করে, তাদেরই সাহায্যে জনবিরোধী কাজকর্ম