তারা দেখিয়ে গেছেন কীভাবে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, স্রোতের উল্টোদিকে কীভাবে সাঁতার দিতে হয় ৷
শহীদ কে! ব্যক্তিস্বার্থকে অগ্রাহ্য করে যারা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সবরকম স্বাধীনতার জন্য, এক শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, বিনিময়ে কোনো নিজস্ব লাভ বা খেতাব বা স্বীকৃতি কিছুই চাননি শহিদ তারাই। এখন নির্বিচার ব্যবহারে শব্দটির মর্যাদা ক্ষুন্ন করে ফেলা হচ্ছে। সংকীর্ণ আঞ্চলিক বা পাড়াগত স্বার্থে বহু ওয়াগন-ব্রেকার, গুণ্ডা-মাস্তানরা গাষ্ঠেীসংঘর্ষে কিংবা পুলিশের বা প্রতিপক্ষ গেলেও তাকে শহীদ বানিয়ে, পাড়ার লোকের কাছে চাঁদা আদায় করে গলিত, বেদি খাড়া করে কিছুদিন ফায়দা লোটার প্রথা বেশ কিছুদিন ধরেই চালু। কিন্তু অধুনা ক্ষেত্রে শহীদ তৈরির একটা রেওয়াজ হয়েছে। সৈন্যবাহিনীর জওয়ানরা কোনো সংঘর্ষে মারা গেলেও তাকে দেওয়া হচ্ছে শহীদের সম্মান। তাদের মৃত্যু তাদের পরিবারের কাছে দুঃখজনক হলেও তারা বেতনভোগী কর্মী হিসেবেই মৃত্যু বরণ করেন, এই পরিণতি তাদের চাকরিরই অঙ্গ। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থ মৃত্যুবরণ নয় তাদের, বরং অনেক সময় জনগণের সংগ্রামের বিরোধিতা করতে গিয়েই মরতে হয়েছে তাদের। কেন তাদের শহীদ বলব আমরা। কাশ্মীরী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে দমিয়ে দিতে গিয়ে স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের হাতে মৃত্যু ঘটেছে যে পেশাদার সৈনিকের বা মণিপুরে যে পেশা, নিয়ত বিশেষ আইনের সুবিধা অত্যাচার-পীড়ন চালিয়ে গেছেন কোন যুক্তিতে তাকে মেনে নিতে হবে শহীদ বলে। এই সংকলন সেই ধারণার বিপরীতে গিয়েই প্রকৃত শহীদদের কথা বলতে চেয়েছে।
এই সংকলনকে পূর্ণাঙ্গ বলা যাবে না, কোনো সংকলনই পূর্ণাঙ্গ হয় না; এই জাতীয় সংকলন তো নয়ই। খুব বিরাট কিছু করে ফেলার অহংকার থেকেও তৈরি করা হয়নি সংকলনটি। কিন্তু এর পিছনে ছিল এক দায়িত্ববোধে আর উত্তরপ্রজন্মের কৃতজ্ঞতা। পূর্বপ্রজন্মের প্রবল আত্মত্যাগ ছাড়া পরবর্তী
১০