পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ q > ) স্ত্রীশিক্ষার বিষয় এই যৎকিঞ্চিৎ বলিয়া পুনরায় পুৰুষদিগের শিক্ষার বিষয়ে বলিতে প্রবৃত্ত হইতেছি । - এক্ষণে স্কুল, কলেজে যে শিক্ষা প্রদত্ত হইতেছে, তাহাতে কি বিশেষ উপকার দর্শিতেছে ? কই অদ্যাবধি দুই একটা লোক ব্যতীত সাহিত্য কিম্বা বিজ্ঞান বিষয়ে কেহ কিছু নুতন রকম লিখিতে অথবা নুতন আবিক্ৰিয়া করিতে সমর্থ হইলেন না । ইহার প্রধান কারণ এই যে, স্কল কিম্বা কলেজ পরিত্যাগ করিয়া লেখা পড়ার চর্চা অধিকাংশ লোক ছাড়িয়। “দেয় । আমি স্বীকার করি, জীবিকা উপার্জনের জন্য র্যাহদিগকে সমস্ত দিবস অফিসে : কঠিন পরিশ্রম করিতে হয়, র্তাহারা সন্ধ্যার পরে আসিয়া যদি কিছু না করিতে পারেন, র্তাহাদিগের কতকটা ওজর আছে ; কিন্তু র্যাহীদের সময় অাছে, উপায় আছে, তাহারাও যে কলেজ পরিত্যাগ করিয়া পড়া শুনা একবারে ত্যাগ করিয়া বসেন, ইহা অতিশয় দুঃখের বিষয় । কোন নুতন বৈজ্ঞানিক আবিস্তু য়া কিম্বা কোন নুতন ভাবের কাব্য রচনা ন হইবার বিশেষ কারণ এই ৷ কলেজ অথবা স্কুল ছাড়িয়া লেখাপড়ার চর্চা একবারে পরিত্যাগ করিলে কি প্রকারে এই প্রকার আবিঙ্কিয়া বা কাব্য রচনা প্রত্যাশা করা যুাইতে পারে? যে অল্প সংখ্যক ব্যক্তি লেখা পড়ার চর্গ রাখেন, তাহারা আবার কেবল হীন অনুকরণে রত। প্রাচীন কবি কবিকঙ্কণ, ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ, রামবস্তু ইহঁাদের কবিতা যেন ঠিক স্বভাবের হস্ত হইতে বাহির হইয়াছে । এক্ষণকার অধিকাংশ কাব্যে সেরূপ সহৃদয়তা দেখা যায় না। এক্ষণকার অধিকাংশ কাব্যে ইংরাজী ইংরাজী