পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন কি, স্কুলের বালকদিগের মধ্যেও এই পাপ প্রবলাকার ধারণ করিয়াছে। যেমন পানদোষ বৃদ্ধি পাইতেছে, তেমন বেশ্যাগমনও বৃদ্ধি হইতেছে । ইহা কিন্তু সভ্যতার চিহ্ন ৷ যতই সভ্যতা বৃদ্ধি হয়, ততই পানদোষ, লাম্পট্য ও প্রবঞ্চনা তাহার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি হইতে থাকে । * এক্ষণকার লোকের পূর্বকার লোক অপেক্ষ অধিক অসরল ৷ এখন পদে পদে খলতা, অসরলতা ; এখন লোকের সঙ্গে কথা কহিয়া শীঘ্ৰ বুঝিবার যো নাই যে তাহার মনের ভাব কি? এখন বাহিরে, “আসিতে আজ্ঞা হউক,” “ভাল অাছেন।” “মহাশয়” ইত্যাদি দাতবাহির করা সভ্যতা কিন্তু ভিভরে ভিতরে পরস্পর এমনি কৌশল চলিতেছে যে, তুমি যদি “বেড়াও ডালে ডালে, আমি বেড়াই পাতায় পাতায় ।” এক্ষণে ছদ্ম ব্যবহার অতিশয় প্রবল । এ বিষয়ে বহরমপুর নিবাসী মুকবি রামদাস সেন এক্ষণকার লোকদিগের প্রতি লক্ষ্য কবিয়া যাহা লিখিয়াছেন, তাহা খুব সত্য । “কত ভাবে ভ্রম তুমি কত সাজ পর । বঙ্গরঙ্গ অাগারেতে অভিনয় কর ॥ দেশের হিভের জন্য করি প্রাণপণ । এখানে সেখানে ফের মহাব্যস্ত মন ॥ পীযুষবর্ষণ মুখে হৃদে ক্ষুরধার । মরি কি বঙ্গের সুত চরিত্র তোমার ! ॥” এক্ষণে প্রতারণা অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়াছে। পূৰ্ব্বে এক ধৰ্ম্ম

  • প্রত্নত সভ্যতা কাহাকে বলে তজ্জন্য আমার প্রণীত “হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠতার” ৩৫ ও ৩৬ পৃষ্ঠা দেখ ।